প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীর মানসিক অত্যাচারে ওজন কমেছে তাঁর। আগে ওজন ছিল ৭৪ কেজি। কিন্তু অত্যাচারের ফলে সেই ওজন কমে ৫৩ কেজিতে দাঁড়িয়েছে। স্ত্রীর মানসিক অত্যাচারে ২১ কেজি ওজন হারিয়ে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন হরিয়ানার এক যুবক।
নিম্ন আদালত তাঁর আর্জি মঞ্জুর করলেও স্ত্রীর পাল্টা মামলায় এই ঝগড়া শেষমেশ পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে পৌঁছয়। তবে হাই কোর্টও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখায় শেষমেশ স্ত্রীর থেকে মুক্তি মিলল যুবকের।
পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী ওই যুবক ২০১২-তে বিয়ে করেন এক শিক্ষিকাকে। তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে। যুবকের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। কানে খুবই কম শোনেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের কয়েক দিন পর থেকেই নানা অছিলায় ঝামেলা শুরু করেন স্ত্রী। হঠাৎ হঠাৎ মাথা গরম করে ফেলতেন। ফলে নিত্যদিন অশান্তি যেন রুটিন হয়ে গিয়েছিল। যুবকের দাবি, তিনি কখনওই কিছু বলতেন না এই ভেবে যে, এক দিন সব ঠিক হয়ে যাবে, স্ত্রী নিজের ভুল বুঝতে পারবেন।
কিন্তু না, তা তো হয়ইনি, উল্টে স্ত্রীর মানসিক অত্যাচার আরও বেড়ে গিয়েছিল বলে দাবি যুবকের। ২০১৬-তে মেয়ে, স্বামীকে ছেড়ে যান মহিলা। সেই সঙ্গে অভিযোগ আনেন, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পণের জন্য তাঁর উপরেই অত্যাচার করতেন। আর সে কারণেই তাঁকে বাড়িছাড়া হতে হয়েছে। শুধু তাই নয় মহিলার পাল্টা দাবি, এক জন স্ত্রী এবং এক জন মা হিসেবে সংসারের প্রতি সব রকম দায়িত্ব তিনি ভাল ভাবে সামলেছেন।
কিন্তু আদালতের পর্যবেক্ষণ, মহিলা শিক্ষিত এবং তিনি ভাল ভাবেই জানতেন কোন অভিযোগ আনলে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সব লোককে ফাঁসানো যায়। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মহিলার অভিযোগ যে সম্পূর্ণ মিথ্যা তাও বুঝতে পারে আদালত। সব বিষয় খতিয়ে দেখার পরই রায় দেয় আদালত, যা যুবকের পক্ষেই যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy