—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজনৈতিক দলগুলির আর্জি মেনে হরিয়ানার বিধানসভা ভোট পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানার ভোটগণনার দিনও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়, হরিয়ানার ৯০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে ৫ অক্টোবর। কমিশনের তরফে আগে জানানো হয়েছিল, ১ অক্টোবর বিধানসভা ভোট হবে হরিয়ানায়। আগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ৪ অক্টোবর একই দিনে দুই রাজ্যের ভোটগণনা হবে। তবে নতুন বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হল, ৮ অক্টোবর হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটগণনা হবে।
কমিশনের তরফে শনিবার জানানো হয়েছে, হরিয়ানার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সারা ভারত বিশ্নোই সমাজের আর্জি মেনে তারা ভোটের নির্ঘণ্ট বদলানোর সময় নিয়েছে। হরিয়ানার ক্ষমতাসীন দল বিজেপি-সহ সে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভোট পিছোনোর আর্জি জানিয়েছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি মোহনলাল বদোলী নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে ভোট পিছোনোর দাবি তুলেছিলেন। কেন তাঁরা ভোট পিছোনোর দাবি জানাচ্ছেন, তার ব্যাখ্যা দিয়ে মোহনলাল বলেছিলেন, ‘‘২৮ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর শনি-রবিবারের সপ্তাহান্তের ছুটি। ১ অক্টোবরের ভোটের দিনটিও ছুটির দিন। আবার ২ অক্টোবর গান্ধীজয়ন্তী ‘জাতীয় ছুটি’ হিসাবে চিহ্নিত। পরের দিন, অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর অগ্রসেন জয়ন্তী। যা হরিয়ানায় ‘রাজ্য ছুটি’র দিন। বিজেপির দাবি, ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হলে ভোটারদের বড় অংশই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন না। কারণ, শুধু ৩০ সেপ্টেম্বর অফিস থেকে ছুটি নিলেই তাঁরা টানা ছ’দিন অবসর যাপনের সুযোগ পেয়ে যাবেন। বুথে না গিয়ে অনেকেই সপরিবার ভ্রমণে চলে যাবেন।’’ তা ছাড়া, ২ অক্টোবর ‘অসোজ অমাবস্যা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশনোই জনগোষ্ঠীর বড় অংশ হরিয়ানা ছেড়ে রাজস্থানে পাড়ি দেবেন বলেও দাবি করেন তিনি।
বিজেপির পাশাপাশি ‘জাঠ কৃষকদের দল’ হিসাবে পরিচিত আইএনএলডি-ও ভোট পিছোনোর দাবি জানায়। ‘ইন্ডিয়া’র দুই দল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টি (আপ) অবশ্য ভোট পিছোনোর বিরোধিতা করে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার পুত্র তথা রোহতকের কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র বলেন, ‘‘হারার ভয়েই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছে বিজেপি।’’
কমিশন সূত্রে খবর, রাজনৈতিক দলগুলির আর্জি খতিয়ে দেখার পর তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ভোটদানের হার বৃদ্ধির স্বার্থের ভোটগ্রহণের দিন পিছোনো হবে। কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে ভোট পিছোনোর কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, “আগের ভোট-নির্ঘণ্ট বহাল রাখলে একটি বড় অংশের মানুষের ভোটদানের অধিকারকে অস্বীকার করা হত। সে ক্ষেত্রে ভোটদাতার সংখ্যাও কমতে পারত।”
গত ১৬ অগস্ট সাংবাদিক বৈঠক করে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে তিন দফায়। হরিয়ানায় এক দফায়। জম্মু ও কাশ্মীরে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। হরিয়ানায় ভোটগ্রহণের দিন বদলালেও জম্মু ও কাশ্মীরে ১ অক্টোবর তৃতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy