ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
দু’বছর পর আবার জনপ্রিয় জুটির প্রত্যাবর্তন। ছোট পর্দায় একই ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় এবং অন্বেষা হাজরা। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকের প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে।
অন্বেষার সঙ্গে ঋত্বিকের রসায়ন চর্চিত। ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে তার সূত্রপাত। সেই ভাবনা থেকেই নির্মাতারা দুই অভিনেতাকে আবার পর্দায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঋত্বিক বলছিলেন, “আমাদের জুটির স্মৃতি এখনও দর্শক মনে রয়ে গিয়েছে। এখনও আমাদের নিয়ে সমাজমাধ্যমে লেখালিখি হয়। পুরনো ধারাবাহিকের দৃশ্য নিয়ে রিল তৈরি হয়। ভাল লাগে।” সমাজমাধ্যম এবং অনুরাগীদের তরফেও ধারাবাহিকের ঝলকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন বলেই জানালেন ঋত্বিক। অভিনেত্রী হিসাবে অন্বেষাকে ফ্লোরে কেমন দেখছেন? ঋত্বিকের স্বীকারোক্তি, “ও আমার খুব ভাল বন্ধু। বড় হয়েছে। আগের থেকে অনেকটাই পরিণত হয়েছে। আর পুরনো রসায়ন রয়েছে বলেই শুটিংয়েও আমাদের খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।”
রসায়ন রয়েছে বলেই নতুন ধারাবাহিককে হালকা ভাবে দেখতে চাইছেন না ঋত্বিক। তাঁর যুক্তি, “আমি টিআরপি বুঝি না। যদি দেখি দর্শক সাত্যকি এবং ঊর্মিকে (পুরনো ধারাবাহিকে ঋত্বিক এবং অন্বেষার চরিত্র) ভুলে আদি এবং আনন্দীকে নিয়ে মাতামাতি করছেন, তা হলে বুঝব সফল হয়েছি।”
ঋত্বিকের অভিনয় জীবনের প্রথম ধারাবাহিক ছিল ‘কাদম্বিনী’। সেখানে এক চিকিৎসক-পড়ুয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তবে প্রোমো থেকে আভাস মিলেছে, এই প্রথম চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋত্বিক। বললেন, “আগে চিকিৎসক ছাত্র ছিলাম। এ বার চিকিৎসক হয়ে গেলাম।” বর্তমানে আরজি কর-কাণ্ডের জেরে চিকিৎসকেরা চর্চায় রয়েছেন। তিনি কি কোনও কটাক্ষের ভয় পাচ্ছেন? ঋত্বিক বললেন, “আমার একদমই সে রকম মনে হচ্ছে না। কারণ এখনও অসুস্থ হলে তো মানুষ ডাক্তারের কাছেই যাচ্ছেন। তা ছাড়া, গল্প অনুযায়ী আমি তো বারুইপুরের একটি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক। আরজি করের সঙ্গেও তো আমাদের গল্পের কোনও মিল নেই।”
সম্প্রতি বাংলা ধারাবাহিকেও মহিলাদের ‘রাত দখল’ কর্মসূচি এবং ধর্ষণ-বিরোধী বার্তা জায়গা করে নিয়েছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক দিক থেকেই দেখতে চাইছেন ঋত্বিক। তিনি বলেন, “সমাজের পরিস্থিতি তো শিল্পের মধ্যেও ছাপ ফেলে। সমকালকে তো শিল্পের মধ্যে তুলে ধরতেই হবে।” এই প্রসঙ্গে মানুষকে সচেতন করতে ছোট পর্দার ক্ষমতার উপরেও গুরুত্ব আরোপ করতে চাইলেন ঋত্বিক। তাঁর যুক্তি, “পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে চিৎকার করলে পাঁচজনের কাছে পৌঁছনো যায়। কিন্তু ক্যামেরার সামনে কথা বললে হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। তাই ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শককে যদি আরও একটু সচেতন করা যায়, তাতে তো কোনও ক্ষতি নেই।” চিকিৎসকের চরিত্রে অভিনয় করছেন বলে এখনও পর্যন্ত কোনও নেতিবাচক মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়নি বলেই জানালেন ঋত্বিক।
টালিগঞ্জের এনটি ওয়ান স্টুডিয়োয় জোরকদমে ‘আনন্দী’র শুটিং শুরু হয়েছে। নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের নতুন প্রযোজনা সংস্থার অধীনে তৈরি ধারাবাহিকটির সম্প্রচার শীঘ্রই শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy