কোভিশিল্ডের দু’টি টিকার মধ্যে ব্যবধান বাড়নোর সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা করা হয়েছে। দেশের কোভিড পরিস্থিতি অনুযায়ী, বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শনিবার টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ন্যাশনাল ইমিউনিজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ (এনআইটিএজি) ভবিষ্যতে এ সংক্রান্ত কোনও পরিবর্তন করলে তা নীতির উপর ভিত্তি করেই নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রথমে কোভিশিল্ডের দু’টি টিকার মধ্যে ব্যবধান ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ। পরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সেই ব্যবধান বাড়িয়ে করা হয় ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ। যদিও কোভ্যাক্সিনের দু’টি টিকার মধ্যে ব্যবধানের কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরই দেশের বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্টনি ফসি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দু’টি টিকার মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ালে করোনার নতুন নতুন প্রজাতিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়তে পারে। ভারতের টিকার ব্যবধান নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই এই কথা বলেছিলেন তিনি। তার পরই হর্ষ বর্ধন জানালেন এ কথা।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। সেখানে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল বলেছেন, ‘‘কোভিশিল্ডের দু’টি টিকার মধ্যে ব্যবধান নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।’’
Decision regarding interval between 2 doses of #Covishield has been reviewed & updated based on scientific studies in context of prevailing #COVID19 scenario in our country.
— Dr Harsh Vardhan (@drharshvardhan) June 12, 2021
Any changes in future too shall be taken by NTAGI guided by the same principles…https://t.co/XboPUAjU3b pic.twitter.com/q4lzgcpQmW