আইজি-কে ‘শংসাপত্র’ নাগরিকের। ছবি: টুইটার।
চলতে ফিরতে মানুষের মুখে পুলিশের নিন্দা শোনা যায় আকছার। কিন্তু, উল্টোটাও কি হয় না? হয় তো বটেই। কিন্তু প্রশংসা আর সাধুবাদের এমন প্রাপ্তি যে হতে পারে, কল্পনাও করতে পারেননি উত্তরপ্রদেশের আগ্রার আইজি। ভাল কাজের জন্য তাঁকে ডাকে শংসাপত্র আর চেক পাঠিয়েছেন এটওয়ার এক বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার, রোজকারের মতো ডাকে আসা চিঠি খুলে দেখতে গিয়ে এ হেন বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখে পড়েন আগ্রার আইজি এ সতীশ গণেশ। একটি মুখ ঢাকা খাম খুলতেই বেরিয়ে পড়ে প্রশংসা পত্র, সঙ্গে ৫০০ টাকার একটি চেক।
এটওয়ার বিজয় পাল সিং নামে এক ব্যক্তি আইজি-কে পাঠানো ওই শংসাপত্রে লিখেছেন, “সাধারণত দেখা যায়, পুলিশ গরিব মানুষের অভিযোগ জমা নিচ্ছে না এবং তাদের অপমান করছে। আমি আপনার কাজের ধরনে খুশি। পুরস্কার স্বরূপ আপনাকে পাঁচ’শ টাকার চেক পাঠালাম।” চাকরি জীবনে ইতিপূর্বে এমন অভিজ্ঞতা হয়নি ১৯৯৬ সালের আইপিএস ব্যাচের ওই অফিসারের।
আরও পড়ুন: শোভন কি আবার তৃণমূলেই ফিরছেন? আসরে স্পিকার, দীর্ঘক্ষণ কথা, জল্পনা তুঙ্গে
অনেক দিন ধরেই পুলিশের কাজে স্বচ্ছতা আনতে উদ্যোগী আগ্রার বর্তমান আইজি। তাঁর নিজের এলাকায় পুলিশ কতটা সক্রিয় তা খতিয়ে দেখতে একবার হাতেকলমে নেমে পড়েছিলেন তিনি। কর্নেল পরিচয় দিয়ে মথুরা থানায় একটি ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। থানার অফিসারের ভূমিকায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কারও দেন।
নানান সময়েই নানান সাধুবাদ জুটেছে তাঁর। কিন্তু এ বারেরটা একেবারেই অন্য রকম। সাধারণ মানুষের থেকে পুরস্কার পাওয়ার পর, সতীশ বলেন, ‘‘গত ২৩ বছরে আমি অনেক মেডেল, পুরস্কার ও শংসাপত্র পেয়েছি। কিন্তু, এমন পুরস্কার পাইনি। এটা সোনার চেয়েও দামি। সাধারণ মানুষের এমন প্রতিক্রিয়াই আমাকে নিরলস পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করে।’’
চেক ভাঙিয়ে টাকা নিতে পারবেন না নৈতিকতা এবং চাকরির শর্তেই। কিন্তু ৫০০ টাকার অমূল্য চেকটা জীবনের মূল্যবান স্মারক হিসেবে রেখে দিতে তো আর অসুবিধে নেই...
আরও পড়ুন: সংবিধান মেনেই জম্মু-কাশ্মীরে ব্যবস্থা, ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে বলল রাশিয়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy