এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে নানা রাজ্যে। ফাইল ছবি।
দেশ জুড়ে এইচ৩এন২ ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুকে ওই রাজ্য প্রথম এইচ৩এন২-র বলি বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মৃত যুবক কোভিডেও আক্রান্ত ছিলেন। ঠিক কোন ভাইরাস তাঁর প্রাণ কেড়েছে সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন চিকিৎসকেরা। মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে।
এইচ৩এন২ ভাইরাসের প্রভাবে যে ফ্লু হয়, তাকে হংকং ফ্লু বলে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে দেশে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, এইচ৩এন২-তে মৃতদের মধ্যে একজন হরিয়ানার বাসিন্দা। এ ছাড়া, কর্নাটকে ৮২ বছর বয়সি এক বৃদ্ধেরও মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে যে যুবকের মৃত্যু হয়েছে, তিনি এমবিবিএস ছাত্র।
হংকং ফ্লুয়ের রোগীর সংখ্যা একাধিক রাজ্যেই ক্রমশ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে পুদুচেরিতে আগামী কাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে স্কুল। সেখানকার শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ১৬ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিন পুদুচেরিতে স্কুল বন্ধ থাকবে।
এইচ৩এন২-র পাশাপাশি এইচ১এন১ ভাইরাসের সংক্রমণও ছড়িয়েছে দেশের নানা প্রান্তে। চিকিৎসকেরা জানান, এই দুই ভাইরাসেই উপসর্গ অনেকটা কোভিডের মতো। কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা ছাড়াও দেখা যাচ্ছে গা, হাত, পা ব্যথা, গলা ব্যথা এবং ডায়েরিয়া।
সেন্টার ফর ডিজ়িজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, এইচ৩এন২ ভাইরাস হল ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা এ’ ভাইরাসের উপরূপ। এই ভাইরাস খুব ছোঁয়াচে। কফ, হাঁচি এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে কোভিডের মতোই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত এই রোগের ক্ষেত্রেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy