— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দিল্লিতে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী। ঘরে ঘরে সর্দিকাশি, জ্বর, হজমের সমস্যা দেখা দিয়েছে। রোগীর ভিড় বেড়েছে হাসপাতালে। বিশেষত এইচ১এন১ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে দিল্লিতে এইচ১এন১ সংক্রমণ (সোয়াইন ফ্লু) বেড়েছে। প্রবীণ এবং অন্য রোগে আক্রান্তদের মধ্যেও এই সংক্রমণ অনেকটাই বেড়েছে। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, প্রবল ঠান্ডা এর অন্যতম কারণ।
এইন১এন১ বা সোয়াইন ফ্লু হল ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস। এর উপসর্গগুলি হল, শরীরে যন্ত্রণা, জ্বর, কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, চোখে জল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের সেরে উঠতে সময় লাগছে তিন থেকে চার দিন। প্রবীণদের সুস্থ হতে কখনও এক সপ্তাহ, কখনও তারও বেশি সময় লাগছে।
দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেডিসিন বিভাগের প্রধান মণীশা অরোরা জানিয়েছেন, প্রতি দিন জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন হাসপাতালে আসছেন। তাঁদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যাঁদের অন্য শারীরিক সমস্যা (কোমর্বিডি) রয়েছে, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। বসন্তকুঞ্জের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মনোজ শর্মা জানিয়েছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় বা প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়লে সব সময়ই ভাইরাল, ব্যাকটিরিয়াজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। দিল্লিতে এ বার প্রবল ঠান্ডাতে তার ব্যতিক্রম হয়নি।
শুধু সোয়াইন ফ্লু নয়, দিল্লিবাসীদের মধ্যে অ্যাজমা, হার্টের সমস্যা, গাঁটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বর, হাইপোথারমিয়া, অবসাদও বৃদ্ধি পেয়েছে। হজমের সমস্যাও বেড়েছে। চিকিৎসকেরা এ জন্য প্রবল ঠান্ডাকেই দায়ী করেছেন। মৌসম ভবনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবারও দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। সোমবার ভোরে দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছিল শূন্যতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy