মায়াবতী। —ফাইল চিত্র।
ইঙ্গিত ছিল আগেই। নিজের জন্মদিনে সে কথা প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানালেন যে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তাঁর দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)। তবে ভোট-পরবর্তী জোটের সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেননি তিনি।
সোমবার ৬৮ বছরে পা দিলেন ‘বহেনজি’। লখনউতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে মায়াবতী বলেন, “বিএসপি কোনও দলের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন পরবর্তী জোটের সম্ভাবনা খোলাই থাকছে।” কেন তিনি কোনও দলের সঙ্গে জোট করছেন না, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই দলিত নেত্রী। তিনি জানান, যখনই উত্তরপ্রদেশের অন্য কোনও দলের সঙ্গে বিএসপি জোট করেছে, তখনই লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে একদা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করেছিল মায়াবতীর দল।
গত মাসেই নিজের রাজনৈতিক উত্তরসূরী হিসাবে ভাইপো আকাশ আনন্দের নাম ঘোষণা করেছিলেন মায়াবতী। তার পরই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল যে, এ বার রাজনীতিকে বিদায় জানাতে চলেছেন তিনি। এ দিন অবশ্য তেমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেন তিনি। মায়াবতী স্মরণ করিয়ে দেন যে, ২০০৭ সালে দলিত, অনগ্রসর এবং সংখ্যালঘু মানুষদের সমর্থন নিয়ে তাঁর দল একক শক্তিতেই উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেছিল। সোমবার তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মায়াবতীকে বলতে শোনা যায়, “যারা জাতপাত এবং ধর্মীয় বিভাজনে বিশ্বাস রাখে আমরা তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখি।” প্রকারান্তরে তিনি বিজেপিকেই কটাক্ষ করলেন কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপি বিরোধিতায় সে ভাবে সরব হতে দেখা যায়নি তাঁকে। অন্য বিজেপি বিরোধী দলগুলির মতো বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’তেও নিজেকে শামিল করেননি মায়াবতী। এই প্রেক্ষিতে তিনি বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় যোগাযোগ রাখছেন কি না, সেই জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এক সময় বিএসপি উত্তরপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক শক্তি হলেও ক্রমশ দলের ধার এবং ভার কমেছে। ভেঙেছে দলিত ভোটব্যাঙ্কও। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ১২.৮ শতাংশ ভোট পায় মায়াবতীর দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy