কটন বিশ্ববিদ্যালয়ে রবি স্মরণ। নিজস্ব চিত্র।
ঠিক শতবর্ষ আগে গুয়াহাটিতে নোবলজয়ী ও সদ্য নাইট উপাধি ত্যাগ করা কবিগুরুর পা পড়েছিল। প্রথমবার শিলং পাড়ি দেওয়ার আগে পাণ্ডু ঘাটে গোয়ালন্দগামী জাহাজে কষ্ট করেই এক রাত কাটাতে হয়েছিল সপরিবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। শিলং থেকে ফিরে ১৯১৯ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সম্পর্কে নাত জামাই আর্ল ল কলেজের অধ্যক্ষ জ্ঞানদাভিরাম বরুয়ার সরকারী বাসভবনে কাটিয়েছিলেন কবি। সঙ্গে ছিলেন রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রতিমা দেবী, দীনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কমলা দেবী। ২ নভেম্বর কার্জন হলে তাঁকে সম্বর্ধনা জানায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।
কবিগুরুর অসম ভ্রমণের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আজ কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ও পাণ্ডু কলেজের সহায়তায় কটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুডমার্সন হলে রবি স্মৃতিচারণ ও বক্তৃতাসভার আয়োজন করা হয়। বিষয় ছিল, 'রবীন্দ্রনাথের ভারত ভাবনা, স্ববিরোধিতা থেকে আধুনিকতায়।' মূল বক্তা ছিলেন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রাক্তন প্রধান বিশ্বনাথ রায়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবেশচন্দ্র গোস্বামী। তিনি রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য ভবনটি সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান।
উত্তর-পূর্বে রবীন্দ্রনাথের আগমনের ইতিহাস ও প্রেক্ষিত তুলে ধরে রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ঊষারঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "তদনীন্তন অধ্যক্ষ উইলিয়াম সুডমার্সন সদ্য নাইটহুডত্যাগী রবীন্দ্রনাথের সম্বর্ধনায় কটন কলেজের ছাত্রদের অনুমতি দেননি। ভাগ্যের কি পরিহাস, আজ তাঁর নামাঙ্কিত প্রেক্ষাগৃহেই রবীন্দ্রনাথের অসমে আসার শতবর্ষ পালিত হচ্ছে। এ এক ঐতিহাসিক দিন।" সংযোজনা করেন গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান রঞ্জিৎকুমার দেব গোস্বামী। রবীন্দ্রস্মৃতিতে 'শতবর্ষ বৃক্ষ' রোপণ করা হয়। আগামী কাল গুয়াহাটির ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচারণ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy