বিজেপি সাংসদ মোহনভাই কল্যাণজি কুন্দারিয়া। ফাইল চিত্র ।
রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাতের মোরবী শহরে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বিজেপি সাংসদ মোহনভাই কল্যাণজি কুন্দারিয়ার পরিবারের ১২ সদস্যের। পাঁচ জন শিশুও ছিল। এই কথা নিজেই জানিয়েছেন রাজকোটের শোকসন্তপ্ত সাংসদ।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজকোটের বিজেপি সাংসদ কুন্দারিয়া বলেন, ‘‘আমি এই দুর্ঘটনায় আমার পরিবারের ১২ জন সদস্যকে হারিয়েছি। এদের মধ্যে পাঁচ শিশু। এই ১২ জন আমার বোনের পরিবারের সদস্য ছিলেন।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দুর্ঘটনায় যারা বেঁচে গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে। মাচ্চু নদীতে পড়ে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে সেই সব মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং উদ্ধারকারী নৌকাও ঘটনাস্থলে রয়েছে।’’
অভিযোগ উঠেছে, এই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও রকম সবুজ সঙ্কেত নেওয়া হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও নেওয়া হয়নি। রবিবার সন্ধ্যার বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।
এই প্রসঙ্গে সেতু বিপর্যয়ে সদ্য পরিবারের ১২ জন সদস্য হারানো বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘কী ভাবে এই ঘটনাটি ঘটেছে তা খুঁজে বের করার জন্য একটি তদন্ত করা হবে। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। যাঁরা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হবে।’’
প্রসঙ্গত, মাচ্চু নদীর উপরের সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। রবিবার সন্ধ্যায় প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল যে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০। উদ্ধার করা হয়েছে ১৭৭ জনকে।
সরকারে তরফে ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য সরকারের তরফে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy