গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে দু’দফার বিধানসভা ভোটের সূচনা হতে চলেছে বৃহস্পতিবার। ১৮২টি আসনের মধ্যে প্রথম দফায় কচ্ছ, সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাতের জেলার ৮৯ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৭৮৮ জন প্রার্থীর।
গুজরাতের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৫টা পর্যন্ত ১৪,৩৮২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। মোদী-শাহের রাজ্যের ৪ কোটি ৯১ হাজার ভোটারের মধ্যে প্রথম দফায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ২ কোটি ৩৯ লক্ষ জন।
প্রথম দফার উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা (জামনগর-উত্তর, বিজেপি), প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পরেশ ধনানী (অমরেলী, কংগ্রেস), ‘গডমাদার’ সন্তোকবেনের ছেলে তথা ‘বাহুবলী’ বিদায়ী বিধায়ক কন্ধাল জাদেজা (কুটিয়ানা) এবং আম আদমি পার্টি (আপ)-র ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা টিভি সঞ্চালক ইসুদান গঢ়বী (খম্বালিয়া)।
২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে এই ৮৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৮টি আসনে জিতেছিল। কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা জিতেছিল ৪০টিতে। পরে কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এ বার ভোটের লড়াই ত্রিমুখী। কংগ্রেস এবং বিজেপির পাশাপাশি রয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আপ। সম্প্রতি সুরাত-সহ কয়েকটি শহরের পুরভোটে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আপ। এ বারের ভোটে কেজরীওয়াল ধারাবাহিক ভাবে গুজরাত জুড়ে প্রচার করেছেন। তাঁর দাবি, বিধানসভা ভোটেও বিজেপির মূল লড়াই হবে আপের সঙ্গে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে গুজরাতে ৯৯টি আসনে জিতে টানা পঞ্চম বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু ১৯৯০ সালের পর সেটাই ছিল বিজেপির সবচেয়ে কম আসনপ্রাপ্তি। অন্য দিকে, ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনে জিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেককেই চমকে দিয়েছিল কংগ্রেস। নির্দল এবং অন্যেরা পেয়েছিল ৬টি আসন। এ বার ষষ্ঠ বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরার বিষয়ে আশাবাদী পদ্ম-শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy