Advertisement
E-Paper

Covid 19: কোভিড আক্রান্ত শিশুদের দেওয়া যাবে না রেমডেসেভিয়ার, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গ থাকা কোভিড আক্রান্ত শিশুদের জন্য স্টেরয়েড ক্ষতিকারক।

ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২১ ১১:০৮
Share
Save

কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নির্দেশিকায় রেমডেসেভিয়ার প্রয়োগ করার সুপারিশ করা হয়নি। এইচআরসিটি ইমেজিং ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গ থাকা কোভিড আক্রান্ত শিশুদের জন্য স্টেরয়েড ক্ষতিকারক। তবে কঠোর তদারকিতে কেবলমাত্র গুরুতর ও অতি গুরুতর রোগীকে হাসপাতালেই স্টেরয়েড দেওয়া যেতে পারে। স্টেরয়েড সঠিক সময়ে, সঠিক ডোজ এবং সঠিক সময়কালের জন্য ব্যবহার করা উচিত। হাসপাতালের বাইরে স্টেরয়েড নেওয়া অবশ্যই এড়াতে হবে।

কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জরুরি ব্যবহারের ওষুধ রেমডেসেভিয়ার বাচ্চাদের জন্য সুপারিশ করা হয় না। ১৮ বছরের কম বয়সিদের উপরে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্যের অভাব রয়েছে। নির্দেশিকায় কোভিড রোগীদের ফুসফুসের সংক্রমণের পরিমাণ এবং প্রকৃতি দেখার জন্য এইচআরসিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে একই সঙ্গে সচেতন করা হয়েছে, বুকের এইচআরসিটি স্ক্যান থেকে প্রাপ্ত কোনও অতিরিক্ত তথ্য চিকিত্সার ক্ষেত্রে খুব সামান্যই প্রভাব ফেলে। সুতরাং এই বিষয়ে চিকিৎসকদের ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বলা হয়েছে, কোভিড একটি ভাইরাল সংক্রমণ। এই রোগীর চিকিত্সায় অ্যান্টিমাইক্রোবায়ালের কোনও ভূমিকা নেই। উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গ থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল থেরাপি বা প্রফিল্যাক্সিসের জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে না। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে সন্দেহ না থাকলে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল দেওয়া উচিত নয়।

নির্দেশিকায় উপসর্গহীন কোভিড আক্রান্ত শিশুদের জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়নি। তবে মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার মতো সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে মৃদু উপসর্গ থাকা রোগীদের জ্বর ও গলায় ব্যথা হলে প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে। একটু বড় ও কিশোর-কিশোরীদের কাশি হলে উষ্ণ নুন জলে গার্গল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে অবিলম্বে রোগীর অক্সিজেন থেরাপি শুরু করা উচিত। গুরুতর রোগীদের তীব্র শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ১২ বছরের বেশি বয়সিদের ৬ মিনিট হাঁটারও সুপারিশ করা হয়েছে নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে, এটি একটি সহজ ক্লিনিকাল পরীক্ষা। বাচ্চার আঙুলে অক্সিমিটার লাগিয়ে টানা ৬ মিনিট হাঁটাতে হবে। ৬ মিনিট হাঁটার পর অক্সিজেন মাত্রা দেখতে হবে।

Newtown Rajarhat Newtown Police Encounter

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}