Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
PM Narendra Modi

কলকাতায় হাতেখড়ির পরদিনই দিল্লির বাংলা স্কুলে রাজ্যপাল বোস, বসে শুনলেন মোদীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’

বৃহস্পতিবার, সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে দুই ‘শিশুগুরু’র কাছে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠান শেষে রাতেই দিল্লি পৌঁছন রাজ্যপাল।

দিল্লির রাইসিনা বঙ্গীয় বিদ্যালয়ে বসে প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ শুনলেন রাজ্যপাল বোস।

দিল্লির রাইসিনা বঙ্গীয় বিদ্যালয়ে বসে প্রধানমন্ত্রীর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ শুনলেন রাজ্যপাল বোস। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৩৫
Share: Save:

এক দিন আগেই ‘হাতেখড়ি’ হয়েছে। পরের দিনই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গেলেন দিল্লির রাইসিনার একটি বাংলা স্কুলে। সেই স্কুলে বসেই শুক্রবার পড়ুয়াদের সঙ্গে শুনলেন প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি ‘পরীক্ষা পে চর্চা’।

বৃহস্পতিবার, সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে দুই ‘শিশুগুরু’র কাছে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনেরা। অনুষ্ঠান শেষে রাতেই দিল্লি পৌঁছন রাজ্যপাল। শুক্রবার রাইসিনার বঙ্গীয় বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে বসেই শোনেন পরীক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শ।

শুক্রবার দিল্লিতে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের ভরসা জোগাতে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা দেশে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয় সেই বক্তৃতা। ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য মোট ৩৮ লক্ষ পড়ুয়া নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে। মোদীর জন্য ২০ লক্ষ প্রশ্ন জমা পড়ে। তার মধ্যে থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন ঝাড়াই-বাছাই করে ‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’ (এনসিইআরটি)। সেই প্রশ্নগুলিরই উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কর্মসূচিতে ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও। সেই পরামর্শ শোনেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল আনন্দ।

বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের হাতেখড়ির পরেই দিল্লি যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। অনেকে বলেছিলেন, এই সফর ছিল পূর্বনির্ধারিত। অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতার উপস্থিতিতে রাজ্যপালের এই ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠান ভাল চোখে দেখেনি বিজেপি। সে কারণেই ডেকে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজভবনে এই অনুষ্ঠানে বিজেপির তরফে কোনও নেতা, বিধায়ক, সাংসদই যোগ দেননি। ভিন্‌ রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল হিসাবে ছিলেন তথাগত রায়।

রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীও ওই অনুষ্ঠানে যাননি। নিজের না যাওয়ার কারণও তিনি সমাজমাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপালের ‘ভালমানুষি’কে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার। নবান্নের ‘দূত’ হিসাবে ‘কাজ’ করছেন রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী। তার পরেই অন্য একটি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু রাজ্যপালের দিল্লি যাওয়ার কথা জানান। ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবেই জানান, দিল্লিতে বিশিষ্ট মানুষজনের সঙ্গে দেখা হবে রাজ্যপালের। শুভেন্দুর এই ইঙ্গিত মানতে চাননি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি টুইটারে জানান, রাজ্যপালের এই দিল্লি সফর পূর্বনির্ধারিতই ছিল। এর পরেই দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে যোগ দিলেন রাজ্যপাল। অনেকে মনে করছেন, এ ভাবে আসলে বিজেপির ক্ষোভ দমনেরই চেষ্টা করলেন বোস।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy