আসু-র বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।
অসমিয়াকে সর্বকালের রাজ্যভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসমের বিজেপি সরকার। এর জন্য সংবিধানের ৩৪৫ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে। আসু-র প্রশ্ন, রাজ্য যদি ৩৪৫ অনুচ্ছেদ সংশোধনের জন্য কেন্দ্রকে চাপ দিতে পারে, তবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-র আওতা থেকে অসমকে বাদ দেওয়ার জন্য কেন চাপ দেবে না? ভারতীয় গোর্খা পরিষদ জানায়, সিএএ বাতিল না-হলে তারা খুকরি হাতে আন্দোলনে নামবে। অসম গোর্খা সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর দাহাল জানান, এই আইন গোর্খাদের পক্ষেও বিপজ্জনক।
মুখ্যমন্ত্রী সিএএ নিয়ে বিরোধীদের আলোচনায় ডেকেছিলেন। তা ফিরিয়েছে আসু, এজেওয়াইসিপি-সহ সব সংগঠন। গত কাল অসমিয় ভূমিপুত্রদের জন্য রাজ্যের সব জমি সংরক্ষণ, রাজ্যভাষা, একটি নতুন জেলা ও তিনটি স্বশাসিত পরিষদ গঠন সংক্রান্ত একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। আসু বলছে, রাজ্য আগে সিএএ বাতিল বা অসমকে এর আওতা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানাক। অন্য উন্নয়নের টোপ দিয়ে আন্দোলন ভাঙা যাবে না।
অসমের বিভিন্ন জায়গায় সিএএ-বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত। গুয়াহাটিতে বিশিষ্ট জনেরা মৌন প্রতিবাদে বসেন। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘এক বছর পরে নির্বাচন। আমরা আগের নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে বদ্ধপরিকর। বাকি থাকা কাজগুলি তাই দ্রুত শেষ করতে হবে। এখন থেকে মন্ত্রিসভার সব বৈঠকের পরেই এমন সব ঘোষণা হবে।’’
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা অগপ-র প্রতিষ্ঠাতা নেতা প্রফুল্ল মহন্ত বলেন, তিনি সিএএ পাশ হওয়ার আগে থেকে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। সে কারণে কেন্দ্র তাঁর এনএসজি নিরাপত্তা সরিয়ে নিয়েছে। জনতাই তাঁকে সুরক্ষা দেবে। সব প্রাপ্য কেড়ে নিলেও তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy