গুগল ডুডলে বাংলার প্রথম মহিলা স্নাতক কবি কামিনী রায়। ছবি: গুগল
বাংলার প্রথম মহিলা স্নাতক তথা কবি কামিনী রায়ের ১৫৫ বছরের জন্মদিন উদ্যাপন করল গুগল। ডুডলের মাধ্যমে বাংলার বিস্মৃতপ্রায় এই কবি ও সমাজকর্মীকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরল গুগল।
১৮৬৪ সালে আজকের দিনেই অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন কামিনী রায়। ১৮৮০ সালে তিনি কলকাতা বেথুন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় পাশ করেন। ১৮৮৩-তে এফএ বা ফার্স্ট আর্টস (উচ্চ মাধ্যমিকের সমতুল) পরীক্ষায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হন কামিনী। ১৮৮৬-তে ভারতের প্রথম নারী হিসেবে সংস্কৃত ভাষায় সাম্মানিক স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
খুব কম বয়স থেকেই কামিনী রায়ের কবিসত্তার পরিচয় পাওয়া যায়। ১৮৮৯ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আলো ও ছায়া’ প্রকাশিত হয়। বইটির ভূমিকা লেখেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় নারীশিক্ষার তেমন চল ছিল না। সময়ের নিয়মেই বইটিতে কামিনী রায়ের নাম প্রকাশিত হয়নি। তবে মুখে মুখে তাঁর কবিখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে অল্প সময়েই। রবীন্দ্রনাথকেই গুরুর আসন দিয়েছিলেন কামিনী রায়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর একাধিক কাব্যগ্রন্থ নিয়ে আলোচনাও করেছেন।
আরও পড়ুন:মোদীর ভাইঝির ব্যাগ ছিনতাই দিল্লির রাস্তায়, ছিল ৫৬ হাজার টাকা, জোড়া মোবাইল
আরও পড়ুন:শি আসার আগে প্লাস্টিক কুড়িয়ে সমুদ্রসৈকত সাফ করলেন মোদী
শুধু কবিতা লেখাই নয়, বেথুন কলেজের স্কুল বিভাগের শিক্ষিকা কামিনী রায় নারী আন্দোলনের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিলেন। নারীশিক্ষা বিস্তারের জন্য ‘বালিকা শিক্ষার আদর্শ’ নামক গ্রন্থটি লেখেন তিনি। নারী শ্রম তদন্ত কমিশন (১৯২২-’২৩) গঠনেও তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশের প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা সুফিয়া কামালকে ধারাবাহিক লেখালেখির পরামর্শও দেন কামিনী রায়। ১৯৩৩ সালে হাজারিবাগে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।
কামিনী রায়ের জন্মদিন উদ্যাপনে গুগলের ডুডল বিস্মৃতপ্রায় এই বাঙালি মহিয়সীকে গোটা বিশ্বের কাছে আরও এক বার তুলে ধরল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy