(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জো বাইডেন। ছবি: টুইটার।
ভারত-আমেরিকা কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন চালিকাশক্তি হিসেবে উঠে এল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরে অ্যামাজন, গুগল ও মাইক্রোসফ্ট— আমেরিকার প্রযুক্তি ক্ষেত্রের তিন মহীরুহ এ দেশে লগ্নি ও ভারতীয় প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নতির জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। অ্যামাজন আগামী সাত বছরে ভারতে ১৫০০ কোটি ডলার লগ্নির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে অ্যামাজনের মোট লগ্নি ২৬০০ কোটি ডলারে গিয়ে পৌঁছবে। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, গুগল ভারতে ডিজিটাল ক্ষেত্রের উন্নয়ন তহবিলে ১০০০ কোটি ডলার লগ্নি করছে। তার সঙ্গে গুগল গুজরাতের গিফট সিটিতে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রযুক্তি কেন্দ্র খুলবে। মাইক্রোসফ্ট গত মাসেই যুগলবন্দি নামের কৃত্রিম মেধা-নির্ভর নতুন প্রজন্মের চ্যাটবট চালু করেছে। যা মোবাইলে চলবে। সরকারি কাজে সাহায্য করবে। কেউ আঞ্চলিক ভাষায় লিখে বা মুখে বলে প্রশ্ন করলে এই চ্যাটবট ইংরেজিতে লেখা তথ্য খুঁজে আঞ্চলিক ভাষাতেই উত্তর দেবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে আগেই সেমিকনডাক্টর বা চিপ, মহাকাশ প্রযুক্তি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, টেলিযোগাযোগ ও যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন নিয়ে ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে আমেরিকার জেনারেল ইলেকট্রিক এরোস্পেস সংস্থা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল-কে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে যৌথ উদ্যোগে ভারতে জেট ইঞ্জিন তৈরিতে সহযোগিতা করবে। বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, এই একটি ঘোষণা থেকেই স্পষ্ট, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক এখন ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে প্রযুক্তির আদানপ্রদান, যৌগ উদ্যোগে উদ্ভাবন ও উৎপাদনের স্তরে উঠে এসেছে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, মোদীর এই সফরে তিনটি ভারতীয় সংস্থা আমেরিকায় ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি লগ্নির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। কলকাতার বিক্রম সোলার এবং নিউ ইয়র্কের সংস্থা ফালানক্স অমপ্যাক্ট পার্টনার, দাস অ্যান্ড কো-র যৌথ উদ্যোগে তৈরি সংস্থা কলোরাডোতে ১৫০ কোটি ডলার লগ্নি করে কারখানা খুলবে। মুম্বইয়ের এপসিলন কার্বন ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা ৬৫ কোটি ডলার ও জেএসডব্লিউ স্টিল ওহায়ো-তে ১২ কোটি ডলার লগ্নি করে ইস্পাত কারখানা খুলবে।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘হাইটেক হ্যান্ডশেক’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাতে দু’দেশের প্রথম সারির প্রযুক্তি সংস্থা, স্টার্টআপের শীর্ষকর্তারা হাজির ছিলেন। বৈঠকের মূলমন্ত্র ছিল ‘সকলের জন্য কৃত্রিম মেধা’ ও ‘মানবসভ্যতার জন্য উৎপাদন’।
বৈঠকে ভারতের দিক থেকে রিলায়্যান্সের মুকেশ অম্বানী, আনন্দ মহীন্দ্রারা ছিলেন। আমেরিকার তরফে ছিলেন সত্য নাদেলা, সুন্দর পিচাই, স্যাম অল্টম্যান, হেমন্ত তানেজা, সুনীতা উইলিয়ামসরা। দু’দেশের প্রযুক্তি ক্ষেত্রের মধ্যে যোগাযোগ, ভারতের মানবসম্পদ ও ডিজিটাল পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে সিইও-দের মধ্যে আলোচনা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy