ছবি: সংগৃহীত।
চার মাস আগে গত অক্টোবরে গোয়ায় নিজের রাজনৈতিক দলের যাত্রা শুরু করতে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নতুন প্রভাতের (গোয়াঞ্চি নভি সকাল)। বলেছিলেন, গোয়াবাসীর চাহিদা পূরণের চেষ্টা করবে তাঁর দল। গোয়া বিধানসভার জন্য শনিবার তৃণমূলের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারে সেই চেষ্টারই প্রতিফলন দেখা গেল।
শুধু অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, বেকার যুব এবং মহিলাদের জন্য প্রকল্প ও প্রতিশ্রুতিই নয়, গোয়াবাসীর জন্য বাসস্থান, মৎস্যজীবী সম্প্রদায়কে সহায়তা, গোয়াপ্রেমী পর্যটকদের জন্য নানা সুবিধা থেকে শুরু করে ধর্মস্থান সংরক্ষণে অনুদান— রাজ্যবাসীর মন জয়ে কোনও চেষ্টারই ত্রুটি রাখেনি তৃণমূল। গোয়ায় নবাগত তৃণমূল রাজনৈতিক অঙ্কে জোট শরিক করেছে রাজ্যের বিজেপি সরকারের আগের জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি বা এমজিপি-কে। প্রকাশিত ইস্তাহারে রাজ্যের জিডিপি বর্তমানের ০.৭১ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১.৮ লক্ষ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুকরণে গোয়ায় গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পে মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি মাসে ৫ হাজার টাকা, ২ লক্ষ নতুন চাকরি, ক্ষমতায় আসার তিন বছরের মধ্যে রাজ্যের সরকারি ক্ষেত্রে ১০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের কাজে গোয়াবাসীদের জন্য ৮০ শতাংশ সংরক্ষণ, কর্মক্ষেত্রে গোয়ার মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ, বেকার যুবকদের স্বনির্ভর করতে যুবশক্তি প্রকল্পের মাধ্যমে জামানত ছাড়াই ৪ শতাংশ সুদে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় দ্বিগুণ বরাদ্দ, ‘মাঝে ঘর, মালকি হক’ প্রকল্পে গৃহহীনদের বাড়ি, পর্যটকদের জন্য নানাবিধ সুবিধার পাশাপাশি হেরিটেজ সাইটের সংরক্ষণের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদানের ঘোষণাও করা হয়েছে ইস্তাহারে।
ইংরেজি, মরাঠী, কোঙ্কনি এবং রোমান কোঙ্কনি— এই চার ভাষা-লিপিতে ছাপা ইস্তাহারটি তৈরির আগে গোয়ার শিক্ষক, সাংবাদিক, বিশিষ্ট জন থেকে শুরু করে সব স্তরের লোকের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যবাসীর চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy