গ্লোবসিন বিজনেস স্কুলের সমাবর্তন অনুষ্ঠান
সাড়ম্বরে পালিত হল গ্লোবসিন বিজনেস স্কুল (Globsyn Business School)-এর বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠান। ২২মে কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীর হাতে ডিগ্রি ও ডিপ্লোমার শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। গ্লোবসিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান বিক্রম দাশগুপ্তের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় এই অনুষ্ঠান।
যে কোনও প্রতিষ্ঠানিক সমাবর্তন নিয়ে সব থেকে বেশি উৎসাহিত থাকেন সংশ্লিষ্ট ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। এই অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস ইন্ডিয়া লিমিটেডের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর অভিজিত রায়। উপস্থিত ছিলেন গ্লোবসিন বিজনেস স্কুলের ভাইস চেয়ারম্যান আর.সি. ভট্টাচার্য এবং আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এলএলপির প্রাক্তন উপদেষ্টা ও ফ্লাক্ট (ইন্ডিয়া)-র চেয়ারম্যান অলোক মুখোপাধ্যায়। অলোকবাবুর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি গ্লোবসিন বিজনেস স্কুলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য এবং সমাবর্তন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। এঁদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীরা, তাদের অভিভাবকেরা, প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তনীরা, বিজনেস স্কুলের অ্যাকাডেমিক ও গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা সহ আরও অনেকে।
বিগত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে গ্লোবসিন বিজনেস স্কুল শিক্ষার্থীদের পথ দেখাচ্ছে। বর্তমানে তারা একমাত্র ‘কর্পোরেট বি-স্কুল’ হিসেবে যথেষ্ট সুনামও অর্জন করেছে। এর প্রধান কারণ হল ম্যানেজমেন্ট শিক্ষায় তাদের ফুল টাইম পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা কোর্স। এটি একটি দুই বছরের দীর্ঘ কোর্স যা অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (AICTE) দ্বারা অনুমোদিত। ভবিষ্যতে পথ চলার কথা বলতে গিয়ে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান বিক্রম দাশগুপ্ত বলেন, “দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি যাত্রায় আমরা উপলব্ধি করেছি যে শিক্ষা কখনই কোনও সরলরেখা ধরে চলতে পারে না। চলার পথে বাধা আসবেই। এই ‘নতুন স্বাভাবিকত্বের’ যুগে শিক্ষার্থীদের জীবনে পরিবেশ ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে সার্বিক উন্নয়নের অনুভূতি জাগ্রত করা প্রয়োজন। ফলে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা নিয়ে পড়াশুনা করার পরে যখন তারা বাস্তব আঙিনায় পা রেখেছে তখন কর্পোরেট জগতের সঙ্গে তাদের মানিয়ে নিতে কোনও অসুবিধা হয়নি।”
অন্যদিকে, গ্লোবসিন বিজনেস স্কুলের ডিরেক্টর রাহুল দাশগুপ্ত বলেন, “এই বছরের স্নাতক ব্যাচকে দেখে আমি সত্যিই আপ্লুত। প্রাক অতিমারি থেকে অতিমারি পরবর্তী সময়ের সেই রূপান্তর এই ব্যাচের প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রত্যক্ষ করেছে। এবং সেই সঙ্গে কর্পোরেট জগতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে আজ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ফিরে এসেছে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও আমরা শিক্ষার্থীদের উচ্চ প্যাকেজ সহ ভাল প্লেসমেন্ট প্রদান করতে পেরেছি। বিগত দুই দশক ধরে এভাবে ক্রমাগত গ্লোবসিনের পাশে থাকার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিশেষ ধন্যবাদ।”
২০১৯-২০২১-এর ব্যাচের স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগত কাঠামোতে অনেকগুলি বদলের সম্মুখীন হয়েছে। এই অতিমারি তাদেরকে এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে বাধ্য করেছে। যা তাদের আরও অভিযোজিত করেছে। ভার্চুয়াল ইন্টার্নশিপ, অনলাইনে ভর্তি থেকে শুরু করে প্রযুক্তি চালিত হাইব্রিড অধ্যয়ন — এই সমস্ত আধুনিক প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে স্নাতক স্তরের গন্ডি পেরিয়েছে তারা। বলা ভাল, এই ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে তারা বিপর্যয়যুক্ত কর্মক্ষেত্রের মধ্যেও নিজেদেরকে বিশেষ ভাবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে সক্ষম হয়। আর সেই কারণেই পূর্ব ভারতে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার মানচিত্রে আরও একবার গ্লোবসিন বিজনেস স্কুল নিজেদেরকে সেরা হিসেবে প্রতিপন্ন করতে পেরেছে।
এই প্রতিবেদনটি গ্লোবসিন বিজনেস স্কুলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy