ফাইল ছবি
কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মারা ‘বিক্ষুব্ধ’ হয়ে ওঠার পরেই গান্ধী পরিবারের অনুগামী নেতারা বলেছিলেন, তাঁদের আর রাজ্যসভায় পাঠানো হবে না বুঝেই এত ক্ষোভ। সেই ক্ষোভ মিটিয়ে বিক্ষুব্ধদের মুখ পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করতে সনিয়া গান্ধী ফের গুলাম নবি আজাদের মতো নেতাদের রাজ্যসভায় পাঠাতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
আগামী ১০ জুন রাজ্যসভার ৫৭টি আসনে নির্বাচন হবে। পি চিদম্বরম, অম্বিকা সোনি, জয়রাম রমেশ, কপিল সিব্বলের মতো কংগ্রেস নেতাদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। এই ৫৭টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১০টি জিতবে বলে দলের নেতারা মনে করছেন। কংগ্রেসের অন্দরমহলের খবর, বিক্ষুব্ধ নেতাদের জি-২৩ গোষ্ঠীর প্রধান মাথা গুলাম নবি আজাদকে ফের মধ্যপ্রদেশ বা রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে।আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা আনন্দ শর্মাকে হরিয়ানা থেকে রাজ্যসভায় পাঠানোর বিষয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ভূপিন্দর সিংহ হুডা। তিনি নিজেও জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্য। কংগ্রেস হাইকমান্ড কুমারী শৈলজাকে রাজ্যসভায় আনতে আগ্রহী। কিন্তু শৈলজার সঙ্গে হুডার বনিবনা নেই। হুডা এখন আনন্দ শর্মার হয়ে মাঠে নেমেছেন। জি-২৩-র আর এক সদস্য মুকুল ওয়াসনিককে মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে আনা হতে পারে। মিলিন্দ দেওরাও দৌড়ে রয়েছেন।
কংগ্রেসের হিসেব অনুযায়ী, রাজস্থান ও ছত্তীসগঢ় থেকে দু’টি, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ থেকে একটি করে আসন পাবে দল। যাঁদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে, তাঁদের মধ্যে কংগ্রেসের রাজ্যসভায় মুখ্য সচেতক জয়রাম রমেশ ও পি চিদম্বরমের আবার সংসদে ফেরা প্রায় পাকা। জয়রাম রমেশকে কংগ্রেসের সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেও সূত্রের খবর। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কংগ্রেসের যোগাযোগ, জনসংযোগ দফতরকে ঢেলে সাজানো হবে। আরও বেশি করে ডিজিটাল মাধ্যম ও তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হবে। জয়রাম রমেশকে এই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
তবে গুলাম নবি, আনন্দ শর্মা ফিরলেও বিক্ষুব্ধ নেতাদের মধ্যে সবথেকে সরব কপিল সিব্বলকে হাইকমান্ড আর রাজ্যসভায় প্রার্থী করবে না বলেই কংগ্রেস নেতাদের মত। সিব্বল গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে কংগ্রেস সভাপতি করার দাবি তুলেছিলেন। কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, সিব্বলকে ফের রাজ্যসভার ফিরতে হলে ভবিষ্যতে সমাজবাদী পার্টির দ্বারস্থ হতে হবে। কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেড়া, রাহুল গান্ধীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত কে রাজু, অবিনাশ পাণ্ডে, ভাঁওয়র জিতেন্দ্র সিংহরাও টিকিট পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। প্রায় ডজনখানেক নেতা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে এসে তদ্বির শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy