ওড়িশার উপজাতি অধ্যুষিত জেলা কেওনঝড় থেকে একেবারে সংসদে। নজরকাড়া প্রার্থীদের তালিকায় না থেকেও নজর কেড়েছেন গোটা দেশের। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে তিনিই এ বার কনিষ্ঠতম সাংসদ।
তিনি চন্দ্রাণী মুর্মূ। বয়স ২৫। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। পড়াশোনা করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। পড়া শেষে চাকরির খোঁজ করছিলেন। এমন সময়েই তাঁর কাছে নির্বাচনে লড়ার একটা সুযোগ চলে আসে। দ্বিতীয় বার ভাবেননি। ভোটে লড়ার প্রস্তাবটা শেষমেশ গ্রহণ করে ফেলেন। এমনটাই জানিয়েছেন চন্দ্রাণী।
যেখানে সংসদীয় ক্ষেত্র থেকে চন্দ্রাণী দাঁড়িয়েছিলেন, সেখানে কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নই উপজাতি মানুষগুলোর অন্যতম প্রধান চাহিদা। রাজনীতির অভিজ্ঞতা নেই, কিন্তু যে মানুষগুলোর সঙ্গে তাঁর বড় হয়ে ওঠা, তাঁদের সমস্যার অভিজ্ঞতাটা তাঁর অস্থিমজ্জায় রয়েছে। আর তাই এক জন সাংসদ হিসেবে তাঁর সর্বপ্রথম লক্ষ্যই হবে কেওনঝড়ে প্রচুর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। জয়ের পর সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন কনিষ্ঠতম এই সাংসদ। চন্দ্রাণী বলেন, “এটা দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, কেওনঝড়ের মতো খনিজসমৃদ্ধ জেলায় কর্মসংস্থানের প্রবল অভাব। রাজ্যের যুব সম্প্রদায় ও মহিলাদের হয়ে কেন্দ্রে প্রতিনিধিত্ব করবেন। পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, তাঁর জেলায় শিল্প আনতে চেষ্টার কোনও খামতি রাখবেন না।
আরও পড়ুন: শেষযাত্রায় চোখে জল নিয়ে প্রচারসঙ্গীর দেহ কাঁধে তুলে নিলেন স্মৃতি ইরানি
বিজু জনতা দলের টিকিটে কেওনঝড় থেকে এ বারের লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন চন্দ্রাণী। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল দু’বারের জয়ী বিজেপি সাংসদ অনন্ত নায়ক। সেই অনন্ত নায়ককেই ৬৬ হাজার ২০৩ ভোটে হারিয়েছেন চন্দ্রাণী। আর সেই সঙ্গে কেনওঝড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তাঁর পথ প্রশস্ত হয়ে চলে গিয়েছে সংসদের অন্দরে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy