—প্রতীকী চিত্র।
কর্পোরেট কায়দায় ঝাঁ-চকচকে অফিস খুলে ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতারির খবর আকছার প্রকাশ্যে আসে। তবে এ বার কোনও অফিস ঘর নয়, বাসের মধ্যে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বসেছিল গাজ়িয়াবাদের এক প্রতারক দল। প্রায় তিন বছর ধরে চলছিল এই প্রতারণার ‘ব্যবসা’। ওই বাসের ভিতর ছিল ল্যাপটপ, মোবাইল, হেডফোন এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের একটি লম্বা তালিকা।
অভিযোগ, ভুয়ো কল সেন্টারটি থেকে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের ফোন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। এই ভাবে তিন কোটিরও বেশি অঙ্কের টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। শুক্রবার গাজ়িয়াবাদে পুলিশের এক অভিযানে ওই বাসটি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও সাত জন জড়িত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
গাজ়িয়াবাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ওই প্রতারকেরা বাসে চেপে দিল্লি ও গাজ়িয়াবাদের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতেন। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দিতেন তাঁরা। কখনও আকর্ষণীয় ‘রিওয়ার্ড পয়েন্ট’-এর টোপ দেওয়া হত, কখনও আবার অন্য কোনও উপায়ে ফাঁদে ফেলতেন। এ ভাবেই চলছিল লোক ঠকানোর কারবার। বাসটি সর্ব ক্ষণ চলতে থাকার কারণে তাঁরা ধরাও পড়তেন না। ভ্রাম্যমান ওই ভুয়ো কল সেন্টারের কর্মীদের দিল্লি, নয়ডা ও গাজ়িয়াবাদ থেকে বাসে তোলা ও নামানো হত।
অপর একটি ঘটনায় নয়ডার সেক্টর ৬৩-তে ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে নয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন ছ’জন মহিলাও। বিদেশে চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার টোপ দিয়ে তাঁরা সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলতেন বলে অভিযোগ। কখনও দুবাই, কখনও কানাডায় চাকরির টোপ দেওয়া হত বলে জানিয়েছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শক্তিমোহন অগস্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy