এই ছবি ঘিরেই বিতর্কে গম্ভীর। সোশ্যাল মিডিয়া
দূষণ রুখতে ব্যর্থতা নিয়ে দিল্লির আপ সরকারকে বার বার চ্যালেঞ্জ করছেন তিনি। শিশু দিবসেও টুইট করেছেন, ‘‘দূষণ রোখাই এ প্রজন্মের শিশুদের জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় উপহার’’। অথচ সেই দূষণ নিয়েই আজ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হাজির হলেন না দিল্লির সাংসদ গৌতম গম্ভীর। তার বদলে ইনদওরে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে তাঁর জিলিপি খাওয়ার ছবি ভাইরাল হল একই দিনে। যা নিয়ে গম্ভীরকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি আপ। আপের টুইট, ‘‘দিল্লি দম আটকে মরছে আর গৌতম গম্ভীর ইনদওরে মজা করছেন। ওঁর উচিত ছিল দিল্লিতে এসে দূষণ নিয়ে বৈঠকে হাজির থাকা।’’ যার জবাবে গম্ভীরের পাল্টা টুইট, ‘‘আমার কাজই আমার কথা বলবে। আমায় গালিগালাজ করে যদি দিল্লির সমস্যা কমে যায়, তবে আপ প্রাণ ভরে আমায় গালিগালাজ করুক।’’
শুধু আপই নয়। সংসদীয় কমিটিতে থাকা দিল্লির একমাত্র সাংসদ গম্ভীর বৈঠকে না থাকায় প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশও। বিতর্কের সূত্রপাত ভিভিএস লক্ষ্মণের টুইট করা একটি ছবি ঘিরে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সতীর্থদের সঙ্গে ইনদওরের একটি দোকানে জিলিপি খাচ্ছেন গম্ভীর। সঙ্গে চলছে দেদার হাসিঠাট্টা। যা দেখে গম্ভীরকে বিঁধে এক ব্যক্তির টুইট, ‘‘দিল্লির শ্রদ্ধেয় সাংসদের ইনদওরে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় আছে, অথচ দূষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়ার সময় নেই।’’ টুইটে গম্ভীর লিখেছেন, ‘‘আমার কেন্দ্রের মানুষ আমার কাজ দেখে বিচার করবেন। দিল্লির ‘সৎ মুখ্যমন্ত্রী’-র চ্যালাদের করা অপপ্রচারে কাজ হবে না।’’
শুধু গম্ভীর নন। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯ জন সদস্যের ২৫ জনই আজ হাজির ছিলেন না এই বৈঠকে। যদিও সাংসদদের নিয়ে আসার জন্য দূষণ আক্রান্ত দিল্লিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। গরহাজিরদের তালিকায় রয়েছেন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনীও। ছিলেন না তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এত জন অনুপস্থিত থাকায় আজ শেষমেশ বৈঠকটি বাতিলই হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, ‘‘কমিটির সদস্যরা কেন বৈঠকে যোগ দিলেন না সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব।’’
আরও পড়ুন: শবরী-যাত্রায় মহিলাদের মিলবে না পুলিশ: মন্ত্রী
রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকার দূষণ কমাতে তাঁরা কী পদক্ষেপ করেছেন জানার জন্য আজ পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির মুখ্য সচিবকে তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এ দিন জানান, দিল্লির রাস্তায় গাড়ির জোড়-বিজোড়ের নীতি আরও কিছুদিন চলবে কি না, সোমবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy