হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট ঘিরে বিতর্কের আবহেই বিমানবন্দর পরিচালনা ক্ষেত্রে আরও লগ্নি করছে আদানি গোষ্ঠী। বুধবার আদানি গোষ্ঠীর সিইও অনিল বনশল এ কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘পরবর্তী বছরগুলিতে আরও কয়েকটি বিমানবন্দর পরিচালনার লিজ নেওয়ার জন্য দরপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’’
বর্তমানে দেশের ৬টি বিমানবন্দর পরিচালনার লিজ রয়েছে আদানিদের হাতে। এ ছাড়া মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এমআইএএল)-এর বড় অংশের পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে তারা। মুম্বই বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্ব পেয়েছিল মূলত জিভিকে গোষ্ঠী। পরে ওই গোষ্ঠীর থেকে ৫০.৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেয় আদানিরা। একই ভাবে এয়ারপোর্টস কোম্পানি সাউথ আফ্রিকা (এসিএসএ) এবং বিডভেস্টের মতো গোষ্ঠীগুলির থেকে মোট ২৩.৫ শতাংশ কিনে নেয় আদানি গোষ্ঠী। সব মিলিয়ে এমআইএএল-এর প্রায় ৭৪ শতাংশ অংশীদারি তাদের দখলে যায়।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই বিমানবন্দর শিল্পে লগ্নি করে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। ২০২০ সালে এমআইএএল-এর ৭৪ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল তারা। এর পর ওই বছরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনে আমদাবাদ, লখনউ ও মেঙ্গালুরু বিমানবন্দর ৫০ বছরের জন্য লিজ নেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘ঘনিষ্ঠ’ গৌতম আদানির শিল্পসংস্থা। এ ছাড়া জয়পুর, গুয়াহাটি এবং তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দর পরিচালনার বরাতও দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পেয়েছে তারা।