Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Gautam Adani

‘মোদী-ঘনিষ্ঠ’ আদানির বিরুদ্ধে ইডি তদন্তের দাবিতে বিরোধীদের মিছিল, তবে নেই তৃণমূল

সোমবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেস তথা অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে না গিয়ে আদানি বিতর্কে একক বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটছেন তৃণমূল সাংসদেরা।

Gautam Adani Row: Congress and other Opposition leaders try to march to ED headquarters

আদানিকাণ্ডে ইডি তদন্তের দাবিতে দিল্লিতে মিছিল ১৮টি বিরোধী দলের। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৫:৩৮
Share: Save:

জেপিসির পাশাপাশি, এ বার আদানিকাণ্ডে ইডি তদন্তের দাবি তুলল কংগ্রেস-সহ ১৮টি বিরোধী দল। সংসদে সরব হওয়ার পাশাপাশি, দিল্লিতে মিছিলও করলেন বিরোধী নেতারা। যদিও বিরোধী জোটের বুধবারের এই কর্মসূচিতে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ গরহাজির রইল তৃণমূল।

কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভা সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়্গের নেতৃত্বে বাম, শিবসেনা (উদ্ধব), ডিএমকে এমনকি, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি, কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র সাংসদেরাও বুধবার মিছিল করে জওহরলাল নেহরু মার্গের ইডি সদর দফতরের দিকে যান। কিন্তু বিজয়চকের কাছে তাঁদের আটকায় পুলিশ। জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় মিছিল করা যাবে না।

খড়্গে বলেন, ‘‘আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে তদন্ত করার জন্য আমরা ইডির ডিরেক্টরের কাছে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত দিল্লি পুলিশ বিজয়চকে আমাদের আটকে দিল।’’ আদানিকাণ্ড নিয়ে অশান্তির জেরে বুধবারও আবার মুলতুবি হয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিরোধীদের দাবির জবাবে বিজেপি সাংসদরা লন্ডনে মন্তব্য নিয়ে রাহুল গান্ধীর ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি তোলেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন থেকেই কংগ্রেস তথা অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে না গিয়ে আদানি বিতর্কে একক বিরোধিতার রাস্তায় চলছে তৃণমূল। মঙ্গলবার কংগ্রেসের বৈঠকে না এলেও রাষ্ট্রায়ত্ত দুই সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং ভারতীয় জীবনবিমা নিগম (এলআইসি)-এর জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদেরা সংসদ ভবন চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। সেই বিক্ষোভে তৃণমূল সাংসদদের স্লোগানেও এসেছে আদানি গোষ্ঠীর নাম। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে আদানি গোষ্ঠীতে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই এবং জীবনবিমা সংস্থা এলআইসির বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উঠে এসেছে নানা আশঙ্কার কথা। যার জেরে ‘ব্যাখ্যা’ দিতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট দু’টি সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে।

প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এক দশক ধরে আদানি গোষ্ঠী তাদের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানির ১২,০০০ কোটি ডলার (প্রায় ৯,৭৯,৮০০ কোটি টাকা) নিট সম্পদের ১০,০০০ কোটিই এসেছে গত তিন বছরে, দামে কারচুপির মাধ্যমে শেয়ার সম্পদ চড়িয়ে। গড় বৃদ্ধি ৮১৯ শতাংশ! শুধু তা-ই নয়, হিসাবে জালিয়াতির অভিযোগ এনে গবেষণা সংস্থাটি মরিশাস, আরব আমিরশাহীর মতো আয়কর ছাড়ের সুবিধা মেলে এমন কিছু দেশে আদানি পরিবারের মালিকানাধীন কিছু ভুয়ো সংস্থার কথা উল্লেখ করেছে। বলেছে, সেগুলির মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন, কর ফাঁকি ও আইন ভেঙে নথিভুক্ত সংস্থা থেকে অন্যত্র টাকা সরানোয় লিপ্ত ছিল তারা। ফলে ঘটনাটি ইডি তদন্তের আওতায় পড়ছে বলে বিরোধী দলগুলির দাবি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE