আমেরিকাকে সঙ্গে নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমন্বয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে নয়াদিল্লি। সদ্য শেষ হওয়া আসিয়ানের মঞ্চে ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার চতুর্পাক্ষিক আলোচনাও হয়ে গিয়েছে এই নিয়ে। এ বার সাগর নিরাপত্তা এবং বাণিজ্যের প্রশ্নে ইউরোপকেও পাশে পেতে তৎপর মোদী সরকার। আজ দু’দিনের সফরে ভারতে এসেছেন ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী জঁ-ইভ ল দ্রঁ। দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। মোদী বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা অঞ্চল তথা বিশ্বে সুস্থিতি বজায় রাখার শক্তি হিসেবে কাজ করবে ভারত ও ফ্রান্সের সম্পর্ক।
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন ফ্রান্সের বিদেশমন্ত্রী। আগামী মাসে নয়াদিল্লি আসার কথা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ-র। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আসন্ন দ্বিপাক্ষিক দৌত্যে গুরুত্ব পেতে চলেছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সমন্বয়ের বিষয়টিই।
ফ্রান্স পশ্চিমের একমাত্র দেশ, যার একটা বড় অংশ (দ্বীপপুঞ্জ) রয়েছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। ফরাসি দূতাবাসের এক কর্তার কথায়, ‘‘ভারত এবং ফ্রান্স দু’টি দেশেরই ভৌগোলিক উপস্থিতি এবং ঐতিহ্যগত সংযোগ রয়েছে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।’’ নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূতের কথায়, ‘‘ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ছে। এখানে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা সমন্বয় আরও বাড়ানো হবে।’’
এই সহযোগিতার সঙ্গে ভারতের চতুর্দেশীয় সমন্বয়ের সংযোগ নেই। এটা উপরি পাওনা। সাগর দখলে চিনা একাধিপত্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়ছে ভারত-সহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলি। চিন-বিরোধী জোটে নেতৃত্ব দিয়ে চিনের সঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রে দর কষাকষিতে সুবিধা আদায় করাটা সাউথ ব্লকের কূটনৈতিক কৌশলের মধ্যে পড়ে। তাই অনেকের মতে, ফ্রান্সের সঙ্গে ভারতের গাঁটছড়া, কপালে ভাঁজ ফেলবে বেজিংয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy