স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের গণপিটুনিতে এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় সাজা ঘোষণা আদালতের। — প্রতীকী ছবি।
২০১৮ সালে রাজস্থানের অলওয়াড়ে গরু পাচারকারী সন্দেহে রকবর খানকে গণপিটুনি দিয়ে খুনের ঘটনায় সাজা ঘোষণা করল রাজস্থানের একটি আদালত। দোষী সাব্যস্ত চার জনকে সাত বছরের জেলের সাজা দিয়েছে আদালত। এক অভিযুক্তকে প্রমাণের অভাবে খালাস করা হয়েছে।
২০১৮-এর জুলাই মাসে রকবর এবং তাঁর এক বন্ধু আসলাম খান গরু নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের পথ আটকান স্বঘোষিত গো-রক্ষকরা। মারধরের মুখে বন্ধু পালাতে সক্ষম হলেও বকবর পালাতে পারেননি। তাঁকে লাঠি এবং পাথর দিয়ে পেটান গো-রক্ষকরা। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সেই মামলায় রাজস্থানের একটি আদালত ধর্মেন্দ্র যাদব, পরমজিৎ, বিজয় কুমার এবং নরেশ কুমার নামে চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁদের চার জনকেই সাত বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়। আইনজীবী অশোক শর্মা জানিয়েছেন, নওলকিশোর নামে এক ব্যক্তিকে খালাস করেছে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রমাণ পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। এত দিন অভিযুক্ত চার জনই জামিনে মুক্ত ছিলেন। রায় ঘোষণার আগেই তাঁদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যখন পুলিশ পৌঁছয় তখনও জীবিত ৩১ বছরের রকবর। অভিযোগ, পুলিশ পেশায় কৃষক রকবরকে গাড়িতে বসিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা রকবরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন রাজস্থানের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়া। তাঁর দাবি ছিল, পুলিশ যদি সঠিক সময় রকবরকে হাসপাতালে নিয়ে যেত, তাহলে তাঁর প্রাণ বাঁচত। কাটারিয়ার অভিযোগ ছিল, পুলিশ রকবরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে গবাদি পশুদের পুনর্বাসন নিয়ে বেশি মাথায় ঘামিয়েছিল। সময় নষ্টের কারণেই রকবরের মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy