প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চিতাবাঘের আতঙ্কে ত্রস্ত উত্তরাখণ্ডের টিহরী। পর পর চার মাসে চিতাবাঘের হামলায় চার স্কুলপড়ুয়ার মৃত্যুর পর থেকেই টিহরীর ভিলাঙ্গলা ব্লকে ত্রাহি ত্রাহি রব পড় গিয়েছে। চিতাবাঘের হামলা থেকে স্কুলপড়ুয়াদের বাঁচাতে শেষমেশ ওই ব্লকের চার প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রথমে তিন দিনের জন্য ওই স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের ছাড়তে ভরসা পাচ্ছেন না। ফলে স্কুলে পড়ুয়াদের হাজিরার সংখ্যা দিন দিন কমতে শুরু করে। তার মধ্যেই সম্প্রতি চিতাবাঘের হামলায় আরও এক পড়ুয়ার মৃত্যু হওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। ফলে চিতাবাঘটি যত দিন না ধরা পড়ছে, তত দিন স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
প্রশাসনিক আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ভরগাঁও, পুয়ালগাঁও, মাহারগাঁও এবং আঁতওয়ালগাঁওয়ের চার সরকারি প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত এই চার স্কুলে পরীক্ষাও স্থগিত থাকবে। টিহরীর মুখ্য শিক্ষা আধিকারিক এস পির সেমওয়াল বলেন, ‘‘যে হেতু চিতাবাঘটিকে এখনও ধরা যায়নি, তাই আপাতত স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়গুলি খোলা রয়েছে। তবে সেখানে বন দফতরের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। পড়ুয়াদের জন্য নিরাপত্তাও আঁটসাঁট করা হয়েছে। সেমওয়ালের কথায়, ‘‘এই সময়ে যা পঠনপাঠন বাকি থাকবে, স্কুল খোলা হলে অতিরিক্ত ক্লাস করিয়ে সেই ঘাটতি মেটানো হবে।’’
চিতাবাঘটিকে ধরার জন্য বন দফতর বেশ কয়েকটি দল বানিয়েছে। শুটার নামানো হয়েছে। ড্রোন দিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) পুনিত তোমর জানিয়েছেন, তাঁদের কয়েকটি দল চিতাবাঘটির তল্লাশি চালাচ্ছে। স্থানীয়দেরও সতর্ক করা হয়েছে, চিতাবাঘ নজরে এলেই তাঁরা যেন বন দফতরকে খবর দেন। এই প্রথম নয়, এর আগেও চিতাবাঘের আতঙ্কে গত সেপ্টেম্বরে পৌড়ি জেলার দ্বারিখাল ব্লকের ন’টি স্কুল দু’মাসের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy