(বাঁ দিক থেকে ) নীতীশ, অশ্বিনী এবং মোদী। — ফাইল চিত্র।
তাঁর সমর্থনের উপর কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্থায়ীত্ব অনেকাংশে নির্ভরশীল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিয়ে সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে এখনও। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে শুক্রবার জানিয়েছেন, আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশের জেডিইউ-এর সঙ্গে সমঝোতা না করে বিজেপির একা লড়া উচিত।
সেই সঙ্গে বিহারে বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদল নিয়েও জল্পনা উস্কে দিয়েছেন অশ্বিনী। বর্তমানে নীতীশ সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি বিহার বিজেপির সভাপতি পদে রয়েছেন। কিন্তু অটলবিহারী বাজপেয়ী-লালকৃষ্ণ আডবাণীর জমানায় বিহার বিজেপির দায়িত্বে থাকা মোদী মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য বলেন, ‘‘আমি মনে করি বিজেপি ঘরানার কাউকেই সভাপতি করা উচিত।’’ সরাসরি কিছু না বললেও, সম্রাট যে একদা আরজেডি এবং জেডিইউতে ছিলেন, সে দিকেই তিনি ইঙ্গিত করেছেন বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপির একার শক্তি ২৪০। চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম এবং নীতীশের জেডিইউ-এর ১২ জন সাংসদ এনডিএ-র অন্দরে তাই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির দাবিকে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আদৌ আমল দেবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিরোধীরা। প্রসঙ্গত, বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে ২০০৫ সালে প্রথম বার পটনার কুর্সি দখল করেছিলেন কুর্মি নেতা নীতীশ। তার পর থেকে চার বার জোট বদলেছেন তিনি। ফলে পদ্ম শিবিরের একাংশের সঙ্গে তাঁর সমীকরণ মসৃণ নয়। এ বার লোকসভা ভোটের প্রচারে বিজেপি এবং জেডিইউ নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবও দেখা গিয়েছে। ফলে জল্পনা বাড়ছে বিহারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy