—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন দলবল নিয়ে বুথের ভিতর ঢুকে ইভিএম ভাঙার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েব ক্যামেরায় সেই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন। অবশেষে সেই প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করল পুলিশ। আদালতে তাঁর আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক পিন্নেলি রামকৃষ্ণ রেড্ডি। মাচর্লা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁকেই গত ১৩ মে ভোটের সময়ে বুথে ঢুকে ইভিএম ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছিল। কমিশনের গ্রেফতারির নির্দেশের পর থেকে ফেরার ছিলেন তিনি। কিছু দিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে। তাঁর আবেদন আদালত খারিজ করে দিয়েছে। তার পরেই প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কী করেছিলেন অভিযুক্ত? ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোটের দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বুথে ঢুকেছিলেন রেড্ডি। তাঁর সঙ্গে দলের আরও কয়েক জন সমর্থকও ছিলেন বলে অভিযোগ। বুথে ঢুকে তাঁরা ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট যন্ত্র ভাঙচুর করেন। এমনিতেই ওই বুথটি কমিশনের খাতায় সংবেদনশীল হিসাবে চিহ্নিত ছিল। ফলে তার দিকে বাড়তি নজর রাখা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রাক্তন বিধায়ক এলাকায় প্রভাবশালী। ভোটের দিন ওই কেন্দ্রের অন্যান্য জায়গা থেকেও অনেক হিংসার খবর এসেছিল। যাতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদত রয়েছে অভিযুক্তের।
এই মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতের পর্যবেক্ষণ, জনপ্রতিনিধিদের কাজকর্ম উদাহরণস্বরূপ হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে রেড্ডি যা করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।
নির্বাচন কমিশন রেড্ডির আচরণকে ‘অপরাধমূলক’ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেড্ডি ইভিএম ভেঙে গণতন্ত্রের উপর আঘাত এনেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত। কমিশনের বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘স্বচ্ছ ও স্বাধীন ভোট গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ। ইভিএম সেই নির্বাচনকে নিশ্চিত করে। এই যন্ত্র ভাঙা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকেই ভেঙে ফেলার সমান। এর ফলে ভোটারেরা ভোটদানে বাধা পান এবং নির্বাচনের ফলাফলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই কমিশন ওই প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিচ্ছে।’’
কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতে রেড্ডির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। আদালতে জামিন চাইতে গেলে তাঁকে ধরে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy