(বাঁ দিকে) হেমন্ত সোরেন এবং চম্পই সোরেন। — ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে জয়ের পরেই সোমবার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেএমএমের প্রথম সারির নেতা চম্পই সোরেনও।
রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণের কাছে সোমবার জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট সরকারের ১১ জন মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। কংগ্রেসের রামেশ্বর ওরাওঁ, ইরফান আনসারি, বান্না গুপ্তা, দীপিকা পাণ্ডে সিংহ এবং আরজেডির বিধায়ক সত্যানন্দ ভক্তা রয়েছেন এই তালিকায়। চম্পই ছাড়াও জেএমএমের বৈদ্যনাথ রাম, মিথিলেশ কুমার ঠাকুর, হাফিজুল হাসান, দীপক বিরুয়া, বেবি দেবী মন্ত্রিপদে শপথ নিয়েছেন।
সোমবার আস্থাভোটে ৮১ জনের বিধানসভায় ৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন পান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত। বিরোধী বিজেপি এবং আজসুর বিধায়কেরা আস্থাভোটে অংশ না নিয়েই বেরিয়ে যান বিধানসভাকক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই জেএমএম নেতা হেমন্ত একাই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন। তার আগে ৩ জুলাই সন্ধ্যায় রাজ্যপালের কাছে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন চম্পই।
গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। হেমন্তের অনুপস্থিতিতে চম্পাইকে মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেন জেএমএম নেতৃত্ব। পাঁচ মাস রাঁচীর বীরসা মুন্ডা জেলে বন্দি থাকার পরে গত ২৮ জুন ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছিলেন হেমন্ত। তার পরেই আবার জেএমএমের পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy