ফাইল ছবি
সিবিএসই দ্বাদশের পরীক্ষা না হলেও মূল্যায়ন কী ভাবে হবে, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে স্পষ্ট মত দিয়েছে বোর্ড। কিন্তু সেই পদ্ধতি অনুসরণ করে কতটা স্বচ্ছ মূল্যায়ন হওয়া সম্ভব, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মত প্রকাশ করেছে বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। বোর্ড জানিয়েছে দ্বাদশের একাধিক স্কুল পরীক্ষার ভিত্তিতে চূড়ান্ত নম্বরের ৪০ শতাংশ ধার্য হবে। এ ছাড়া দশম ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পড়ুয়া যে তিনটি বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে, সেই তিনটির নম্বর গড় করে দেওয়া হবে ৩০ শতাংশ করে নম্বর।
অশোকের মতে, এই গোটা পদ্ধতিতে দু’রকম তথ্যের প্রয়োজন হবে। এক প্রকার তথ্য, যা সিবিএসই-এর কাছে রয়েছে, আর দ্বিতীয় প্রকার তথ্য যা স্কুলগুলির কাছে রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ (দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল) রয়েছে বোর্ডের কাছে, বাকি ৭০ শতাংশ রয়েছে স্কুলের কাছে। এখানেই বোর্ডকে সতর্ক হতে হবে। যে তথ্য স্কুলের কাছে নেই, সেই তথ্যে একটা কারচুপির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই এই ৭০ শতাংশ নিয়ে সতর্ক হওয়া একান্তই প্রয়োজন। তার জন্য প্রথমেই স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিতে হবে যে আর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। এতদিনের প্রাপ্ত নম্বরেরই হিসাব দিতে হবে।
অশোক মনে করছেন, প্রি-বোর্ড পরীক্ষার নম্বর না ধরাই ভাল। কারণ অনেক সময়ে সেটিতে ইচ্ছা করে কঠিন প্রশ্ন করা হয়, যাতে পড়ুয়ারা মূল পরীক্ষায় ভাল ফল করে। তাই দ্বাদশের ষান্মাষিক ও একদাশের বার্ষিক পরীক্ষার ফল হিসাব করা উচিত। পাশাপাশি শেষ বছরের পরীক্ষার ফলের সঙ্গে পরের বছরের পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়েও দেখা উচিত। তাতে নম্বরের গড় করতে বিশেষ সুবিধা হবে। এ ছাড়াও, দশমের সেরা তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে ৩০ শতাংশ মূল্যায়নের হিসাব করলেও সমস্যা থেকে যেতে পারে। একজন যদি ইংরাজিতে সবচেয়ে বেশি নম্বর পায়, তাহলে তাঁর নম্বর তো পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে না। তাই একটাই পথ, দশমে বিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বা জীববিদ্যায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy