বিজেপিতে যোগ দিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি। ছবি: টুইটার।
বিচ্ছেদ, প্রত্যাবর্তন এবং বিচ্ছেদ। এক কথায় কিরণ কুমার রেড্ডির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের রসায়ন এটাই। ‘পুরনো’ দল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল আগেই। অবশেষে দ্বিতীয় বারের জন্য কংগ্রেস ছাড়লেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের শেষ মুখ্যমন্ত্রী কিরণ। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি যোগ দিলেন বিজেপিতে। তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা তথা সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।
শুক্রবারই এক বাক্যের ইস্তফাপত্র লিখে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে পাঠিয়ে দেন কিরণ। নতুন দলে যোগ দিয়েই পুরনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। দল ছাড়ার কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, দলের তরফে কোনও যোগাযোগ রাখা হত না। কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি বিদ্রুপ করে কিরণ বলেন, “নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ কমে আসায় কংগ্রেস একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত নিতে থাকে। অন্য দিকে বিজেপি সমাজের সব স্তরের মানুষের উন্নতির জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। আমি অনুপ্রাণিত এই কাজ দেখে।” পুরনো প্রবাদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কংগ্রেসের অবস্থা এখন সেই রাজার মতো, যিনি নিজেকে ভীষণ বুদ্ধিমান মনে করেন এবং কারও পরামর্শ শোনেন না।” কংগ্রেস এখন দু-তিন জনের স্বার্থরক্ষার জন্য লড়াই করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানান যে, কখনও ভাবেননি যে কংগ্রেস ছাড়তে হবে। বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনির পুত্র অনিল অ্যান্টনি।
কিরণের প্রশংসা করে বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ বলেন, ‘‘কিরণের বাড়ির সকলেই কংগ্রেস করতেন। কিন্তু উনি (কিরণ) আমায় কিছু দিন আগে বলেছিলেন যে উনি প্রধানমন্ত্রীর মোদীর কাজে অনুপ্রেরণা খুঁজে পান।” ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলঙ্গানা গঠন করে। এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন কিরণ। তৈরি করেছিলেন নিজের দল ‘জয় সময়ক্যান্ধ্র’। কিন্তু নির্বাচনী ময়দানে সাফল্য পায়নি কিরণের দল। রাজনীতি থেকে এক প্রকার স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নেওয়া কিরণ ২০১৮ সালে আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন। কিন্তু অন্ধ্র বিভাজনের পর রাজ্যে কংগ্রেস প্রায় প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়। দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন কিরণও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy