মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী সঞ্জয় রাঠৌর।
পূজা চহ্বাণ নামে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক তরজা এমন পর্যায়ে পৌঁছল যে মন্ত্রিপদ থেকে ইস্তফা দিতে ‘বাধ্য’হলেন সঞ্জয় রাঠৌর। তিনি মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন সঞ্জয়।
২৩ বছরের পূজা মহারাষ্ট্রের বীড় জেলার বাসিন্দা। ইংরাজিতে কথা বলার কোর্স করতে পুণেতে এসেছিলেন। সেখানে তাঁর ভাই এবং বন্ধুদের সঙ্গে থেকে পড়াশোনা করতেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি আত্মহত্যা করেন। তাঁর মৃত্যুর দু’দিন পরে একটি অডিয়ো ক্লিপ সামনে আসে। তাতে দুই ব্যক্তির কথোপকথন ছিল তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাটি নিয়ে। বিজেপি-র দাবি, ওই দু’জনের মধ্যে এক জন হলেন সঞ্জয়। এ নিয়ে কোমর বেঁধে আসরে নামে বিজেপি। সঞ্জয়ের পদত্যাগের দাবি তোলে তারা।
যদিও সঞ্জয় অডিয়ো ক্লিপের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যার ঘটনা হলেও এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার মধ্যেই বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, তরুণীর রহস্যমৃত্যুতে সঞ্জয়ের হাত রয়েছে। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। এ নিয়ে ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল গত কয়েক দিন ধরে। শেষমেশ রবিবার উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে গিয়ে ইস্তফা দিয়ে আসেন।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে সঞ্জয় বলেন, “তরুণীর মৃত্যুকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। আমার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে।” স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে। আর সেই তদন্তই চাইছেন বলে জানিয়েছেন সঞ্জয়। তিনি বলেন, “সত্যটা যাতে সামনে আসে সে কারণেই মন্ত্রিত্ব ছাড়লাম।”
বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস দাবি করেছেন, শুধু ইস্তফা দিলেই হবে না। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy