বিহারের বিজেপি বিধায়ক অনিল সিংহ। -ফাইল ছবি।
করোনা সংক্রমণ রুখতে যখন দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে, তখন বিহারের হিসুয়া কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অনিল সিংহকে রাজস্থানের কোটা যাওয়ার ‘ট্রাভেল পাস’ দেওয়ার অপরাধে সাসপেন্ড করা হল নওয়াদা জেলা সদরের সাব ডিভিশনাল অফিসার (এসডিও) অনু কুমারকে। মঙ্গলবার বিহারের সাধারণ প্রশাসন দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সাসপেনশনের কথা জানানো হয়েছে। কন্যাকে বিহারের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য রাজস্থানের কোটায় গিয়েছিলেন ওই বিজেপি বিধায়ক। বিরোধীরা এ ব্যাপারে বিহার সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বেছে বেছে নানা রকম সুযোগসুবিধা দেওয়া হচ্ছে লকডাউনের সময়েও।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই সময় এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার ট্রাভেল পাস ইস্যু করার ক্ষেত্রে কর্তব্যে গাফিলতি হয়েছে অনু কুমারের। যা এই লকডাউনের সময় একমাত্র খুব আপৎকালীন পরিস্থিতিতেই ইস্যু করা যায়। এই কর্তব্যে গাফিলতির দায়েই তাঁকে মঙ্গলবার থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া এসডিও-র কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যকে কড়া চিঠি কেন্দ্রের, অবশেষে পথে নামল কেন্দ্রীয় দল
আরও পড়ুন: ‘তুলনায় ভারতে দুর্বল করোনা’
বিহার প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপি বিধায়ক অনিল সিংহকে ওই এসডিও ট্রাভেল পাস ইস্যু করেছিলেন গত ১৫ এপ্রিল। সেই পাস নিয়ে অনিল তার পরের দিনই রওনা হয়ে যান কোটার উদ্দেশে। সেখান থেকে তিনি তাঁর ১৭ বছর বয়সি কন্যাকে বিহারের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
অনিলের দাবি, মেডিক্যালের ছাত্রী তাঁর কন্যা লকডাউনের সময় কোটায় একা থাকতে থাকতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর ক্লাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হস্টেলে থাকা অন্য ছাত্রীরাও বাড়ি ফিরে গিয়েছে। তাই তাঁকে তড়িঘড়ি ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন হয়েছিল।
কিন্তু কী ভাবে বিজেপি বিধায়ককে লকডাউনের সময় অন্য রাজ্যে যাওয়ার ট্রাভেল পাস দেওয়া হল, তা নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতেও ভিআইপি-দের নানা রকম সুযোগসুবিধা দিয়ে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রশাসন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy