Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Food Safety and Standards Authority of India

প্যাকেটবন্দি খাবারে কতটা চিনি, নুন, ফ্যাট? লিখতে হবে আরও স্পষ্ট করে, সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সংস্থা

কোন খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কত, কোন খাবারে সুগার বেশি রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই তা না জেনে কিনে ফেলেন সাধারণ গ্রাহকেরা। এর ফলে অসংক্রামক ব্যাধিও বাড়ছে। স্বাস্থ্যরক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত।

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪ ১২:১১
Share: Save:

খাবারে চিনি, নুন এবং ফ্যাটের মাত্রা কত, এ বার থেকে তা আরও স্পষ্ট ভাবে ওই খাবারের প্যাকেটে উল্লেখ করতে হবে। এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে সম্প্রতি সায় দিয়েছে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (এফএসএসএআই)। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন এই সংস্থা জানিয়েছে, যে কোনও প্যাকেটবন্দি খাবারের ক্ষেত্রে তার পুষ্টিগুণ বড় এবং মোটা হরফে প্যাকেটে উল্লেখ করতে হবে প্রস্তুতকারককে। গ্রাহকেরা যাতে খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আরও বেশি করে সচেতন হন, তার জন্যই এই প্রস্তাব রাখা হয়েছিল এফএসএসএআই-এর কাছে। কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দিয়েছেন।

কোন খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কত, কোন খাবারে চিনি বেশি রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রেই তা না জেনে কিনে ফেলেন সাধারণ গ্রাহকেরা। খাবারের প্যাকেটে নাম, দাম কিংবা ছাড়ের কথা যে ভাবে লেখা থাকে, পুষ্টিগুণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি সে ভাবে লেখা থাকে না। অনেক ক্ষেত্রেই প্যাকেটে তা ছোট করে লেখা হয়। ফলে সহজে চোখে পড়ে না গ্রাহকদের। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসংক্রামক বিভিন্ন ব্যাধির পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাঁরা প্যাকেটবন্দি খাবার কেনার সময়ে যাতে আরও ভাল করে পুষ্টিগুণ বিবেচনা করতে পারেন, খাবারের বিষয়ে যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।

এফএসএসএআই-এর বিজ্ঞপ্তি।

এফএসএসএআই-এর বিজ্ঞপ্তি।

সম্প্রতি এফএসএসএআই-এর চেয়ারপার্সন অপূর্ব চন্দ্রের সভাপতিত্বে খাদ্য কর্তৃপক্ষের ৪৪তম বৈঠক হয়। তাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রক ছাড়াও বাণিজ্য ও উপভোক্তা মন্ত্রক, খাদ্য মন্ত্রক, আইন মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা ছিলেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, খাবারের প্যাকেটে চিনি, নুন, ফ্যাট, সোডিয়াম ইত্যাদির মাত্রা আগের চেয়ে মোটা, বড় এবং স্পষ্ট হরফে লেখা হবে। যাতে কেনার সময়ে সহজে গ্রাহকদের চোখে পড়ে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরে খাবারের প্যাকেটে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাপানোর বিরোধিতা করে আসছে এফএসএসএআই। কিছু দিন আগে নির্দিষ্ট পানীয়কে ‘পুষ্টিকর পানীয়’ (হেল্‌থ ড্রিংক)-এর তকমা দেওয়ার বিরোধিতা করে জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তারা। যে কোনও ফলের রসের বিজ্ঞাপন থেকে ‘১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ’ তকমাও সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। কারণ, শুধু ফল ছাড়াও একাধিক জিনিস দিয়ে ফলের রস তৈরি করা হয়। এ বার খাবারের প্যাকেটে পুষ্টিগুণের উল্লেখ নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হল। এই সিদ্ধান্তটিকে প্রস্তাব আকারে গণমাধ্যমে প্রথমে প্রকাশ করা হবে বলে খবর। সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে নিজেদের পরামর্শ এবং অভিযোগ জানাতে পারবেন। তার পর এটি নির্দেশ হিসাবে কার্যকর করা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy