প্রতীকী ছবি।
কর্তব্য গাফিলতি এবং সেনা আধিকারিকের বান্ধবীকে থানায় হেনস্থার অভিযোগে ওড়িশায় পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হল। একইসঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। পুলিশের কাছে এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলাও করেছে তারা।
ঘটনা সূত্রপাত গত রবিবার রাতে। ভুবনেশ্বরের নিজের একটি রেস্তরাঁ রয়েছে সেনা আধিকারিকের বান্ধবীর। তাঁর অভিযোগ, রেস্তরাঁ বন্ধ করে রাত ১টা নাগাদ বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁদের উপর হামলা চালান এক দল যুবক। তার পরই তাঁরা ভরতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন।
মহিলার অভিযোগ, থানায় সাদা পোশাকে এক জনই মহিলা কনস্টেবল ছিলেন। বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের সাহায্য না করে ওই কনস্টেবল গালিগালাজ করতে থাকেন এবং থানা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। সেই সময় কয়েক জন পুরুষ পুলিশকর্মী এবং আধিকারিক সেখানে আসেন। তাঁর বন্ধুকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরই তাঁর বন্ধুকে লকআপে আটকে রাখা হয় বলে মহিলার দাবি। তাঁর কথায়, ‘‘কেন আমার বন্ধুকে লকআপে আটকে রাখা হল জানি না। আমি যখন এর প্রতিবাদ করি যে, এক জন সেনা আধিকারিককে এ ভাবে আটকে রাখা যায় নি, তখন দুই মহিলা কনস্টেবল আমাকে মারতে শুরু করেন। আমি এক কনস্টেবলের হাতে কামড়ে দিই। কিন্তু ওঁরা আমাকে বেঁধে একটি ঘরে আটকে রাখেন।’’
মহিলার আরও দাবি, কিছু ক্ষণ পর এক পুলিশকর্মী ওই ঘরে ঢোকেন। তাঁর বুকে বেশ কয়েক বার লাথি মারেন। তার পর তাঁর সঙ্গে জোরজবরদস্তি করেন। তবে পুলিশ পাল্টা একটি অভিযোগ দায়ের করে দু’জনের বিরুদ্ধে। থানায় মত্ত অবস্থায় ঢুকে ভাঙচুর, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মারধরের পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়। দু’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবারই মহিলা জামিন পেয়েছেন। তার পরই তিনি পাল্টা যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যাওয়ায় পাঁচ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy