কাশ্মীরে ঘর গরম করার জন্য হিটার চালিয়ে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রবল ঠান্ডায় তুষারপাত চলছিল। ঘরের মধ্যে দরজা-জানলা বন্ধ করে তিন সন্তানকে নিয়ে বসেছিলেন বাবা-মা। ঠান্ডার হাত থেকে কিছুটা আরাম পেতে ঘরে তাঁরা জ্বালিয়েছিলেন গ্যাস হিটার। আর সেই যন্ত্রই হল কাল! পরের দিন ঘর থেকে একই পরিবারের ওই পাঁচ সদস্যকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর জেলার পন্দ্রেথান এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের সদস্যেরা আসলে বারামুলা জেলার বাসিন্দা। শ্রীনগরে তাঁরা ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন। রবিবার ঘর থেকে তাঁদের পাঁচ জনকেই অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁদের মৃত্যুর খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। তীব্র শীতের মরসুমে ঘর গরম রাখার জন্য হিটার ব্যবহার নিয়েও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন তিনি। এ বিষয়ে কাশ্মীরের সরকার যে নির্দেশিকা এবং উপদেশাবলি জারি করেছে, সেগুলি মেনে চলতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শীতের মরসুমে কাশ্মীরের মতো জায়গায় ঘরে ঘরে ‘রুম হিটার’ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অসাবধানতাবশত অনেকে এলপিজি হিটার ব্যবহার করে ফেলেন। কাশ্মীর সরকারের উপদেশাবলিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের এলপিজি হিটার থেকে কার্বন মনোক্সাইড নিঃসৃত হয়। বদ্ধ ঘরে এই হিটার ব্যবহার করলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী। ক্ষতিকর গ্যাস বাইরে বেরোনোর জায়গা না-পেলে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ঘরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে আসে। পাঁচ সদস্যের এই পরিবারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনাই ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাশ্মীর সরকার জানিয়েছে, যে হিটারে ঘরের বাইরে গ্যাস নিঃসরণের ব্যবস্থা আছে, সেই ধরনের হিটার ব্যবহারই নিরাপদ। প্রশাসনের তরফে বদ্ধ ঘরে হিটার না-চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বার বার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy