পটনার গান্ধী ময়দানের অনশনস্থল থেকে প্রশান্ত কিশোরকে তুলে দিল পুলিশ। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
পটনার গান্ধী ময়দানের অনশনস্থল থেকে প্রশান্ত কিশোরকে তুলে দিল পুলিশ। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোমের ভোরেই পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সমর্থকদের দাবি, তাঁদের নেতাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা তাঁরা জানেন না। পিকে সম্পর্কে কোনও তথ্য তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। পটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিংহ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘প্রশান্ত এবং তাঁর সমর্থকদের গান্ধী ময়দান থেকে সোমবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁদের আদালতে হাজির করানো হবে।’’
সংবাদমাধ্যমে দাবি, গান্ধী ময়দান থেকে অনশনরত পিকে-কে ‘জোর করে’ তোলা হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এমস হাসপাতালে। পিকে-কে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁর এবং তাঁর অনুগামীদের ধস্তাধস্তি হয়। কেউ কেউ দাবি করছেন, সেই সময় পুলিশের এক আধিকারিক পিকেকে চড়ও মারেন। সমাজমাধ্যমে এই ধস্তাধস্তির একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
বিহারের সরকারি চাকরির পরীক্ষা বিপিএসসিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পটনার গান্ধী ময়দানে ‘আমরণ’ অনশনে বসেছিলেন জন সুরাজ দলের প্রধান প্রশান্ত। নতুন করে ওই পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। ২ জানুয়ারি থেকে তাঁর অনশন শুরু হয়েছিল। সোমবার ছিল চতুর্থ দিন।
বিহারে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিপিএসসি) ৭০তম পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে দীর্ঘ দিন ধরে সরব পিকে। রাজ্যের নানা প্রান্তে পরীক্ষা বাতিল চেয়ে এবং নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। বার বার এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকে আক্রমণ করেছেন পিকে। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই বিহারের চাকরির পরীক্ষাগুলিতে কারচুপি চলছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বার বার দিল্লি যেতে পারেন, এক বার নিজের রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। বিহারে চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলনকে রাজ্যের অনেক শিক্ষাবিদ এবং বিরোধী রাজনীতিকেরাও সমর্থন করেছেন। এর মাঝে গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে গান্ধী ময়দানে চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েতে লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। পিকে ওই জমায়েতে ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। তার পর ২ তারিখ থেকে পিকে 'আমরণ' অনশনে বসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy