(বাঁ দিকে) দিল্লির কোচিং সেন্টারের সামনে দিয়ে যাচ্ছে কালো গাড়ি। দরজার সামনে কোমরসমান জল (ডান দিকে)। ছবি: এক্স।
দিল্লির কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে তিন পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল সাত জন। পুলিশ জানিয়েছে, নতুন করে যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক জন গাড়ির চালক। তিনি সে দিন জমা জলের মধ্যে দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। সেই স্রোতের ধাক্কাতেই কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টের দরজা ভেঙে গিয়েছিল বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুলিশের।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দিল্লি পুলিশের ডিসিপি সেন্ট্রাল এম হর্ষবর্ধন বলেছেন, ‘‘দিল্লির ঘটনায় আমরা আরও পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাঁদের মধ্যে চার জন ওই বেসমেন্টের মালিক। এ ছাড়া এক জন গাড়ির চালক রয়েছেন। তাঁকে ঘটনার আগে ওই এলাকা দিয়ে জমা জলের উপর জোরে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। যে কারণে বেসমেন্টের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জল ঢুকতে শুরু করে।’’
বেসমেন্টটি বেআইনি ভাবে ব্যবহার করছিলেন কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ, জানিয়েছেন হর্ষবর্ধন। তাঁর কথায়, ‘‘বেসমেন্টে কোনও রকম ব্যবসায়িক কাজের অনুমতি ছিল না। আমরা এ বিষয়ে দিল্লি পুরসভার কাছ থেকে আরও তথ্য চেয়েছি। সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে। বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের কাছে আমাদের অনুরোধ, এলাকায় শান্তি বজায় রাখুন এবং রাস্তা আটকে রাখবেন না। দোষীদের কড়া শাস্তি হবে, বিশ্বাস রাখুন।’’
দিল্লির ঘটনায় রবিবারই কোচিং সেন্টারের মালিক এবং এক কো-অর্ডিনেটরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। নতুন করে গ্রেফতার হওয়া পাঁচ জনকে সোমবার আদালতে হাজির করাবে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের হেফাজতে চাওয়া হতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে পড়ায় ডুবে মৃত্যু হয়েছে তানিয়া সোনি (২৫), শ্রেয়া যাদব (২৫) এবং নবীন ডেলভিনের (২৮)। আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যাতে দেখা গিয়েছে, সিঁড়ি দিয়ে হু হু করে জল ঢুকছে বেসমেন্টে। তার মধ্যে দিয়ে কোনও রকমে ব্যাগ হাতে উঠে আসছেন পড়ুয়ারা। কেউ কেউ অসুস্থও হয়ে পড়ছেন (ভিডিয়োগুলির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy