ইডব্লিউএস সংরক্ষণ নিয়ে সুপ্রিম-রায়কে পুনর্বিবেচনার আর্জি, শুনানি মঙ্গলবার। ফাইল চিত্র।
স্কুল-কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে এবং সরকারি চাকরিতে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণি (ইডব্লিউএস)-র জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণে সায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে ৯টি মামলা হয়। আগামী ৯ মে (মঙ্গলবার) এই মামলাগুলো শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার ১০৩তম সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে জানিয়েছিল, জাতিধর্ম নির্বিশেষে দেশের অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির মানুষ ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও গত ৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য এই সংরক্ষণের পক্ষেই মত দেন। দরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত যে বৈধ, তা মনে করেছিলেন এই মামলায় শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির মধ্যে ৩ জনই। তাঁদের পর্যবেক্ষণ ছিল, অর্থনৈতিক মানদণ্ডের বিচারে এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই বৈষম্যমূলক নয়।
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভট্ট, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, প্রধান বিচারপতি ললিত এবং বিচারপতি ভট্ট এই রায়ের বিরুদ্ধে মত দেন। যদিও রায়দানের সময় বিচারপতি মহেশ্বরীর পর্যবেক্ষণ ছিল, অর্থনৈতিক মানদণ্ডের নিরিখে ইডব্লিউএস সংরক্ষণ আইন কোনও ভাবেই সংবিধানের মূল কাঠামো অথবা সাম্যের নীতিকে লঙ্ঘন করে না। তবে প্রধান বিচারপতি ললিত এবং বিচারপতি ভট্টের মতে, এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা থেকে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির দরিদ্রদের বাদ দেওয়া অসাংবিধানিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy