ফাইল চিত্র।
তাঁর মেয়েকে যারা গণধর্ষণ করে খুন করে দেহ পুড়িয়ে দিয়েছিল, সেই চার জনই পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে গত সপ্তাহে। কিন্তু হায়দরাবাদে নির্যাতিতা সেই পশু চিকিৎসকের বাবা মনে করেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে যা হয়েছে, তার ফলে একসঙ্গে পাঁচটি পরিবার তছনছ হয়ে গেল।
গত ২৬ নভেম্বর রাতে হায়দরাবাদের কাছে শাদনগরে একটি টোল প্লাজার কাছে আক্রান্ত হন বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী। পুলিশ জানায়, মহম্মদ আরিফ, শিবা, নবীন, চেন্নাকেশভুলু নামে চার জন ওই তরুণীকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাঁকে গণধর্ষণ করে, তার পরে তাঁকে খুন করে তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পরের দিন মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবাদে তোলপাড় হয় সারা দেশ। ২৯ নভেম্বর চার অভিযুক্তই গ্রেফতার হয়। কিন্তু ঘটনা অন্য মোড় নেয় যখন ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে যেখানে তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তার কাছেই ওই চার জনের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছিল, অভিযুক্তেরা পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই করে পালানোর ছক কষছিল। কিন্তু এনকাউন্টার নিয়ে শুরু হয়ে অন্য বিতর্ক। নির্যাতিতার পরিবার এনকাউন্টারকে সমর্থন করেছিল প্রথমে।
আজ ওই তরুণীর বাবা বলেছেন, ‘‘একসঙ্গে পাঁচটি পরিবার শেষ হয়ে গেল। অভিযুক্তেরা এমনটা না করলে তো সব কিছুই ঠিক থাকত। অভিযুক্তদের বাবা-মায়েরা থেকে শুরু করে পুলিশ— প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়েছেন। ওই চার যুবকের এই আচরণের কি খুব প্রয়োজন ছিল?’’
এনকাউন্টার নিয়ে আজ শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিন আইনজীবী। আজ শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এনকাউন্টার-কাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হোক সুপ্রিম কোর্টেরই কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে। এ নিয়ে তেলঙ্গানা সরকারকে নাম প্রস্তাব করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy