প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। — ফাইল চিত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির অনুষ্ঠানে এ বার অনেক কিছুই প্রথম বার হবে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ‘ভিভিআইপি’ আসন বণ্টন। এই অনুষ্ঠানে দর্শকাসনের প্রথম দু’টি সারি থাকে বিশেষ অতিথিদের জন্য। এ বার কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ওই আসনে বসানো হবে রিকশাওয়ালা, সব্জি বিক্রেতার মতো সাধারণ মানুষকে। একই সঙ্গে জায়গা পাবেন দিল্লিতে সেন্ট্রাল ভিস্তা এবং কর্তব্য পথ তৈরিতে নিযুক্ত শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। আবার যে কোনও সাধারণ মানুষ যাতে এই অনুষ্ঠানের দর্শকাসনে থাকতে পারেন সে সুযোগও করে দিয়েছে কেন্দ্র।
প্রতি বছরই প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে নানা বৈচিত্র দেখা যায়। বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবেলো থেকে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ দেখতে ভিড় জমে। কিন্তু এ বার কিছু কিছু নিয়মে বদল আনা হয়েছে। এই বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের উদ্যাপনের থিম ‘সাধারণের অংশগ্রহণ’ (পার্টিসিপেশন অব দ্য কমন পিপল)। সেই কথা মাথায় রেখেই সামনের সারিতে সাধারণ মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের হাজার খানেক সাধারণ মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে ভিভিআইপি আসনে। সেখানে রিকশাচালক, সব্জি বিক্রেতা, নির্মাণকর্মীরা যেমন থাকবেন তেমনই সাফাইকর্মীদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রের পরিকল্পনা, যে সব মানুষ ইচ্ছা থাকলেও সামনে থেকে এই ধরনের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পান না, তাঁদের জন্যই এই উদ্যোগ। অনুষ্ঠান দেখার জন্য অনলাইনেও আসন বুক করা যাবে।
এ বার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তা আল সিসি। এই প্রথম মিশরের প্রেসিডেন্ট আসছেন ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে। জানা গিয়েছে, মিশর থেকে ১২০ জনের একটি প্রতিনিধি দল আসতে পারে। তবে কোভিডবিধি মাথায় রেখে এ বার আসন সংখ্যা কিছুটা কম। জানা গিয়েছে, মোট ৪৫ হাজার আসন থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য। এর মধ্যে আবার ৩২ হাজার আসন সাধারণ মানুষ অনলাইনে বুক করতে পারবেন। একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠানের ১০ শতাংশ আসনও অনলাইনে বুক করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy