আইএনএস বিক্রান্ত। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
প্রথম বার সমুদ্রে পাড়ি দিল আইএনএস বিক্রান্ত। ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বিক্রান্তের পরীক্ষামূলক ভাবে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার খবর বুধবার নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। বিক্রান্তের প্রথম সমুদ্রযাত্রাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
বিক্রান্তের প্রথম ‘সি ট্রায়াল’ সম্পর্কে প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘দেশে তৈরি বিমানবাহী জাহাজ বিক্রান্তের প্রথম সমুদ্রযাত্রা প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির সাফল্য। কোভিড পরিস্থিতিতেও এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তদের কর্তব্যনিষ্ঠা এবং দায়বদ্ধতা নতুন নজির গড়েছে। ভারতবাসী হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছে’।
Maiden sea sortie of Indigenous Aircraft Carrier, ‘Vikrant’ is a true testimony to our unwavering commitment to #Atmanirbharta in Defence. Realisation of this historic milestone, regardless of COVID, shows true dedication & commitment of all stakeholders. A proud moment for India pic.twitter.com/pJJZqmV4G1
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) August 4, 2021
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটিশ নৌবাহিনীর জন্য তৈরি করা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ হারকিউলিস পঞ্চাশের দশকে কিনেছিল ভারত। নাম দেওয়া হয় আইএনএস বিক্রান্ত। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে উজ্জ্বল ভূমিকা ছিল ভারতীয় নৌসেনার সেই বিক্রান্তের। প্রায় ৪ দশক কাজ করার পরে নব্বইয়ের দশকের শেষপর্বে বিক্রান্ত অবসর নেয়। ভেঙে ফেলা হয় জাহাজটি। কিন্তু তারই স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে প্রথম ‘ভারতীয়’ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজটি।
২৬২ মিটার উঁচু, ৬২ মিটার চওড়া এবং ৫৯ মিটার উঁচু আইএনএস বিক্রান্তে ১,৭০০-রও বেশি নৌসেনা এবং অফিসারের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে মহিলা অফিসারদের থাকার জন্য পৃথক ব্যবস্থা। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮ নট (প্রায় ৫২ কিলোমিটার)। রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটারেরও বেশি। ফলে ‘অ্যারেস্টেড হুক’ ব্যবহার করে তেজসের মতো আধুনিক যুদ্ধবিমানও ওঠানামা করতে পারবে এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy