তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের আহ্বানে আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে বৈঠকে ‘ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ’-এর ডাক দিল দাক্ষিণাত্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের ‘একরতফা’ উদ্যোগের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি প্রতিবিধান চাওয়ার বিষয়েও শনিবার চেন্নাইয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
স্ট্যালিনের ডাকে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে আসন পুনর্বিন্যাসের দাবিতে ‘জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’র বৈঠকে শুক্রবার চেন্নাইয়ে হাজির হয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়ন, তেলঙ্গানার কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। ছিলেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারও।
আরও পড়ুন:
বিজয়ন শনিবার বলেন, ‘‘আমাদের উপর আসন পুনর্বিন্যাসের খাঁড়া ঝুলছে। মোদী সরকার কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই নিজেদের মতো করে আসন পুনর্বিন্যাস করতে সক্রিয় হয়েছেন। এমন পদক্ষেপ সাংবিধানিক বিধি এবং গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।’’ স্ট্যালিন তাঁর বক্তৃতায় রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি আইনি পদক্ষেপের উপর জোর দেন। সেই উদ্দেশ্যে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি। বৈঠকে পঞ্জাবে আপ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, শিরোমণি অকালি দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি বলবিন্দর সিংহ ভুন্দের এবং ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের সাধারণ সম্পাদক পিএমএ সালামও হাজির ছিলেন।
২০২৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার একতরফা ভাবে আসন পুনর্বিন্যাস করে লোকসভা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে নিতে পারে বলে বিরোধীরা আশঙ্কা করছেন। জনসংখ্যা অনুযায়ী লোকসভায় সাংসদসংখ্যাও বৃদ্ধি হওয়ার কথা। তা হলে হিন্দি বলয়ের রাজ্যগুলি থেকে লোকসভার আসনসংখ্যা অনেকটা বাড়বে। তুলনায় দক্ষিণের রাজ্যগুলির সাংসদসংখ্যা তেমন বাড়বে না। ফলে গোটা প্রক্রিয়ায় বিজেপির লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত শনিবার বলেন, ‘‘বিজেপি যে পদ্ধতিতে আসন পুনর্বিন্যাস করতে চাইছে, তা সফল হলে ভারতীয় রাজনীতিতে চিরতরে দাক্ষিণাত্যের কণ্ঠরোধ হবে।’’