Advertisement
০৫ জুলাই ২০২৪
Bharatiya Nyay Sanhita

দেশে নতুন ফৌজদারি আইন কার্যকর হওয়ার পর দায়ের প্রথম অভিযোগ, অভিযুক্ত দিল্লির এক হকার

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-সহ নতুন তিন ফৌজদারি আইন সোমবার থেকেই চালু হয়েছে সারা দেশে। ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে কার্যকর হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪ ১০:০২
Share: Save:

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-সহ নতুন তিন ফৌজদারি আইন সোমবার থেকেই চালু হয়েছে সারা দেশে। ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে কার্যকর হয়েছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’। আর নতুন ফৌজদারি আইনের আওতায় প্রথম এফআইআর দায়ের হল দিল্লির এক হকারের বিরুদ্ধে। তেমনটাই দাবি করা হয়েছে এনডিটিভির প্রতিবেদনে। অভিযুক্ত হকারের নাম পঙ্কজ কুমার। তিনি বিহারের পটনার বাসিন্দা। নয়াদিল্লি রেল স্টেশনের কাছে একটি রাস্তা ঘিরে ব্যবসা চালানোর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে নতুন ফৌজদারি আইনের ২৮৫ ধারার অধীনে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে বলে খবর।

২৮৫ ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি তাঁর দখলে থাকা সম্পত্তির মাধ্যমে অন্যের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করেন অথবা অন্য কোনও ব্যক্তির বিপদ, বাধা বা আঘাতের কারণ হন, তা হলে শাস্তিস্বরূপ তাঁকে জরিমানা দিতে হবে। যা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সেই ধারাতেই এফআইআর দায়ের হল দিল্লির ওই হকারের বিরুদ্ধে।

এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনের কাছের একটি রাস্তায় ওই হকারকে জলের বোতল এবং গুটখা বিক্রি করতে দেখে দিল্লি পুলিশ। অস্থায়ী দোকানটি মানুষের যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি করছে জানিয়ে দোকানদারকে সেটি সরিয়ে নিতে বলা হয়। কিন্তু দোকানদার রাজি না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এনডিটিভির কাছে থাকা এফআইআর-এর প্রতিলিপিতে বলা হয়েছে, ‘‘ওই বিক্রেতা রাস্তায় বসে জল, বিড়ি-সিগারেট বিক্রি করছিলেন এবং এর ফলে জনসাধারণের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছিল। দিল্লি পুলিশের এক এসআই ওই দোকানদারকে বেশ কয়েক বার রাস্তা থেকে অস্থায়ী দোকান সরিয়ে নিতে বলেন, কিন্তু তিনি রাজি হননি।’’ এর পরেই দিল্লি পুলিশের ওই এসআই ‘ই-প্রমাণ অ্যাপ্লিকেশন’ ব্যবহার করে গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করেন। তার পরই এফআইআর দায়ের করেন বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ (ভারতীয় দণ্ডবিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ (ফৌজদারি বিধি)-এর পরিবর্তে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন)-এর বদলে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’— এই তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন কার্যকর হয়েছে সোমবার থেকে। তবে নতুন আইনে কী কী অপরাধ এবং তার শাস্তি হিসাবে কী বলা হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দে আছেন অনেকেই। নতুন তিন আইনের বিরুদ্ধে একাধিক আপত্তি তুলে ধরেছে বিরোধী দলগুলিও। তার মধ্যেই নতুন ফৌজদারি আইনের আওতায় দায়ের হল প্রথম এফআইআর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bharatiya Nyay Sanhita Indian Penal Code Delhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE