এই রোবোভ্যানই আগুন নেভানোর কাজে লাগিয়েছে মুম্বই দমকল বিভাগ। ছবি: টুইটার থেকে
দমকল বিভাগে যুক্ত হয়েছে সম্প্রতি। তবে কাজে নামেনি। সোমবারই প্রথম ময়দানে নামলে এবং নেমেই নিজের দক্ষতা প্রমাণ করল। সে অবশ্য রক্তমাংসের মানুষ নয়, রোবট। এই প্রথম দমকল বাহিনীর কর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে নামল ‘রোবোফায়ার’। সোমবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় টেলিফোন এক্সচেঞ্জে আগুন লাগে। আটকে পড়েন শতাধিক মানুষ। তবে তাঁদের অধিকাংশকেই নিরাপদে নিচে নামিয়ে আনতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা।
রবিবারই মুম্বইয়ের তাজ হোটেলের কাছে একটি বহুতলে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু হয়। তার পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের আগুন। এ বার এমটিএনএল-এর টেলিফোন এক্সচেঞ্চে। এ দিন বিকেল ৩.১০ নাগাদ পশ্চিম এস ভি রোডের ন’তলা ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। বহুতলটির তিন ও চার তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় অনেকেই অফিসে ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের ফলে নীচে নামতে না পেরে ছাদে চলে যেতে বাধ্য হন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের অন্তত ১৪টি ইঞ্জিন।তীব্র আগুনে বহুতলটির তিন ও চার তলা ধোঁয়ায় ভরে যায়। কমে যায় দৃশ্যমানতাও। ফলে, বেশ অসুবিধায় পড়ে দমকল বাহিনী। ছাদে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছতে ল্যাডার ব্যবহার করা হয়। তার মধ্যেই ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এক দমকলকর্মী।
বার বার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার জেরেই সম্প্রতি একটি রোবট ভ্যান যুক্ত করেছে দমকল বাহিনী। যার নাম ‘রোবোফায়ার’। দূর নিয়ন্ত্রিত এই রোবটটি যে কোনও পরিবেশে কাজ করতে পারে। ঢুকে যেতে পারে ছোট্ট কোনা-ঘুপচিতেও। সঙ্গে ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। ‘রোবোফায়ার’ ভ্যানের মধ্যে অর্থাৎ নীচে বসেই ওই ক্যামেরার ছবি মনিটরে দেখতে পারেন দমকলকর্মীরা।
আরও পড়ুন: চন্দ্রাভিযানের সাফল্যে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা, ‘গর্বিত’ টুইট শাহরুখ-কোহালিদের
আরও পড়ুন: ভ্রূণহত্যা? তিনমাসে একটিও কন্যাসন্তান জন্ম নেয়নি উত্তরকাশীর ১৩২ গ্রামে
কী ভাবে আগুন লাগত তা জানা যায়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে পোড়া গন্ধ পাওয়া যায়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ভবনটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে দমকলে খবর পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবারই, দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবায় একটি বহুতলের চার তলায় আগুন লাগে। একজনের মৃত্যুও হয়। গত বছর, কমলা মিল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। এ দিনের অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের আটকে পড়ার ঘটনা সেই আতঙ্ক আরও উস্কে দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy