—প্রতীকী চিত্র।
উজ্জয়িনীকাণ্ডে অভিযুক্তের বাবা অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কামনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যদি তাঁর ছেলে সত্যিই এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তবে তাঁরও বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই।
উজ্জয়িনীতে ১২ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা কিশোরী রক্তাক্ত, অর্ধনগ্ন অবস্থায় লোকের বাড়ি বাড়ি সাহায্যের জন্য ঘুরেছিল। কেউ তাকে সাহায্য করেননি। উল্টে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। কেউ কেউ হাতে টাকা ধরিয়ে বিদায় করে দেন ধর্ষিতাকে। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তা ওই ভাবে হাঁটার পর এক পুরোহিত কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার এক অটোচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত নিজের ছেলের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন ধৃতের বাবা রাজু সোনি। দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ছেলের পাশেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন। রাজু জানান, এই ধর্ষণের ঘটনার কথা তিনি টিভি দেখে জানতে পারেন। ছেলের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনাও করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত ঘটনার কথা না জানার ভান করেছিলেন। এমনকি, তিনি রোজকার মতোই দিন কাটাচ্ছিলেন। তাঁর দৈনন্দিন যাপনে কোনও পরিবর্তন আসেনি।
পুলিশ ছেলেকে গ্রেফতার করেছে শুনে রাজু বলেন, ‘‘অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। ওই কিশোরীর জায়গায় যদি আমার সন্তান থাকত, আমি একই দাবি করতাম। এই ধরনের অপরাধ যাঁরা করেন, তাঁদের বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। আমার সন্তান হোক বা অন্য কারও, এই কাজ করলে তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত বা গুলি করে মেরে ফেলা উচিত।’’
যদিও রাজু বলেন, ‘‘আমি আমার ছেলের পাশেই দাঁড়াব। পুলিশ ওকে গ্রেফতার করেছে। সত্যিটা পরে প্রকাশ্যে আসবে। কিন্তু কারও মনের ভিতরে কী চলছে, আমরা বাইরে থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’’
এই ঘটনায় রাজুর ছেলে ছাড়া আরও তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। পুলিশ তাঁকে আটকে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy