Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Crime News

কার সঙ্গে ফোনে কথা মেয়ের? ভিন্‌জাতে প্রেমের সন্দেহে কিশোরীকে কুপিয়ে মারলেন বাবা, দাদা

কিশোরীকে ফোনে কথা বলতে নিষেধ করেছিলেন পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু অভিযোগ, তার পরেও যুবকের সঙ্গে কথা বলে চলেছিল সে। বারণ মানেনি। রাগের মাথায় বাবা এবং দাদারা মিলে তাকে খুন করেন।

Father kills daughter suspect of honor killing in Ghaziabad.

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
গাজ়িয়াবাদ শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৩৮
Share: Save:

কিশোরীকে কুঠার দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবা এবং দাদাদের বিরুদ্ধে। ওই কিশোরী ভিন্‌জাতের কোনও যুবকের সঙ্গে প্রেম করছিল বলে সন্দেহ করেন তাঁরা। অভিযোগ, বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে ফোনে কথা বলা থামায়নি। এর পরেই রাগের মাথায় মেয়েকে খুন করে বসেন বাবা। তাঁর সঙ্গে হাত লাগান কিশোরীর দুই দাদাও।

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদের কৌশাম্বী এলাকার। কিশোরীর বয়স ১৭ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার ‘অপরাধে’ তাকে খুন করা হয়েছে। শনিবার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারা গিয়ে কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় মোট তিন জনকে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

অভিযোগ, কিশোরী মোবাইলে কোনও এক যুবকের সঙ্গে কথা বলছিল। যা একেবারেই পছন্দ করছিলেন না তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের সন্দেহ ছিল, ভিন্‌জাতের কোনও যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে মেয়ে। তাই ফোন বন্ধ রাখার নিদান দেওয়া হয়েছিল তাকে।

কিন্তু পরিবারের আপত্তির পরেও কিশোরী ফোন করা থামায়নি। তাকে যুবকের সঙ্গে গোপনে ফোনে কথা বলতে দেখে ফেলেন বাবা এবং দাদারা। এর পরেই রাগের মাথায় ধারালো কুঠার হাতে তারা মেয়েটিকে আক্রমণ করেন। একের পর এক কোপ মারা হয় কিশোরীর বুকে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। কেন এই খুন, তা-ও জানিয়েছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime News Ghaziabad Ghaziabad Murder UP Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy