খাকি পোশাকে মুখোমুখি বাপ-বেটির সেই অভিবাদনের মুহূর্তের কথা জ্ঞানেন্দ্র নিজেই শেয়ার করেছেন তাঁর টুইটারে। ছবি: টুইটার
বাবা সরকারি আমলা। খাকি উর্দি পরে অফিসে যেতেন। মেয়েরও একই পোশাক চাই। ছোট থেকেই তার বায়না— ওই একই উর্দি সেও পরতে চায় বড় হয়ে। অফিস যাওয়ার সময় মেয়েকে স্যালুট করে বেরোতেন বাবা। মেয়েও এক দিন বলেছিল, বড় হয়ে বাবার মতো পোশাক পরে প্রথম স্যালুট বাবাকেই করবে সে। তার পর বছর ১৫ কেটেছে। গত শনিবার হায়দরাবাদের পুলিশ অ্যাকাডেমি চত্বরে দাঁড়িয়েছিলেন বাবা, অসমের ডিজিপি জ্ঞানেন্দ্র প্রতাপ সিংহ। তাঁর ঠিক মুখোমুখি দাঁড়িয়ে স্যালুট ঠুকলেন এক তরুণী। দেখা গেল, পুলিশের বড়কর্তা জ্ঞানেন্দ্রর চোখের জল বাঁধ মানছে না।
কিছু ক্ষণ আগেই মঞ্চে ছিলেন তরুণী। অ্যাকাডেমির গ্র্যাজুয়েশেন মঞ্চে তাঁকে ব্যাজ পরিয়ে দিয়েছেন পুলিশ অ্যাকাডেমির এক শীর্ষ আধিকারিক। তার পরেই মঞ্চ ছেড়ে নেমে এসেছেন তিনি। তাঁর প্রথম স্যালুট বাবাকে করবে বলে। খাকি পোশাকে মুখোমুখি বাপ-বেটির সেই অভিবাদনের মুহূর্তের কথা জ্ঞানেন্দ্র নিজেই শেয়ার করেছেন তাঁর টুইটারে।
তাঁদের স্যালুটের মুহূর্তের একটি ছবি দিয়ে জ্ঞানেন্দ্র লিখেছেন, ‘‘এই আবেগ প্রকাশের ভাষা নেই আমার। আজ আমি আমার মেয়ের থেকে প্রথম স্যালুট নিলাম। ওঁকে যখন খাকি উর্দি পরে পাসিং আউট প্যারেডে অংশ নিতে দেখছিলাম, আমার মন গর্বে ভরে যাচ্ছিল।’’
জ্ঞানেন্দ্রর কন্যার নাম ঐশ্বর্য। গুয়াহাটি হাই স্কুলেই পড়াশোনা। পরে দিল্লির মাদার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে বিদ্যালয় শিক্ষার বাকিটুকু সম্পূর্ণ করেন। লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক হওয়ার পর ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন। প্রথম বারে আইআরএসে সুযোগ পান। দ্বিতীয় বারে আইপিএসে দেশের মধ্যে ৯৭তম হন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy