—প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের নির্ধারিত ছাড়ের সময়সীমা ফুরিয়ে যাওয়ায় আজ, সোমবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশে যাত্রী এবং পণ্যবাহী গাড়িতে ‘ফাস্ট্যাগ’ লাগানো বাধ্যতামূলক হচ্ছে। এর আগে কেন্দ্র ১ জানুয়ারি থেকে ওই বিধি কার্যকর হওয়ার কথা জানালেও বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনগুলির আপত্তিতে সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফাস্ট্যাগ না-থাকলে ‘হাইব্রিড’ লেনে নগদে টোল মেটানোর যে সুযোগ ছিল তা-ও বন্ধ হচ্ছে। যে সব গাড়িতে ‘ফাস্ট্যাগ’ নেই তাদের টোল প্লাজ়ায় ‘জরিমানা’ হিসেবে দ্বিগুণ টাকা দিতে হবে। নতুবা টোল প্লাজ়া থেকে ‘ফাস্ট্যাগ’ স্টিকার কিনে গাড়িতে লাগাতে হবে।
সূত্রের দাবি, এ রাজ্যের বেশির ভাগ গাড়িতে ওই স্টিকার নেই। ব্যক্তিগত চার চাকার গাড়ি ছাড়াও সিংহভাগ বেসরকারি বাস, মিনিবাস এবং ট্রাকের ওই সুবিধা নেই। ফলে, আজ, সোমবার থেকে রাজ্যে জাতীয় সড়কের টোল প্লাজ়ায় গাড়ির ভিড় উপচে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। তবে রাজ্য সড়ক বা রাজ্যের আওতায় থাকা সেতু নতুন নিয়মের আওতায় পড়বে না। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, দেশ জুড়ে নিজেদের টোল প্লাজ়ায় নগদ লেনদেন কার্যত বন্ধ করাই তাঁদের লক্ষ্য।
রাজ্যের বিভিন্ন পরিবহণ সংগঠনের অভিযোগ, টোল প্লাজ়ায় ইন্টারনেট সংযোগ মাঝেমধ্যে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ‘ফাস্ট্যাগ’ থাকা সত্ত্বেও টোল দিতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। নতুন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে স্টিকার কেনার পরেও ‘ফাস্ট্যাগ ইন্টিগ্রেশন’ ঠিক মতো না-হওয়ায় অনেকে সমস্যায় পড়ছেন। টোল প্লাজ়ার কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন রুটের বেসরকারি বাসের মালিকদের অভিযোগ, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে তাঁদের ক্ষেত্রে টোল দেওয়ার সময় বিশেষ ছাড় দেওয়া না-হলে অচিরেই পরিষেবা বন্ধ হবে। ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, ‘‘বেশির ভাগ ট্রাক চালকের কাছে এখনও স্মার্টফোন নেই। ফলে টোল মেটানোর ক্ষেত্রে ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক করলে সমস্যা বাড়বে। টোল প্লাজ়ায় গাড়ির ভিড়ও বাড়বে।’’ একইসঙ্গে তিনি ‘ওভার লোডিং’ সংক্রান্ত নিয়মকানুন দ্রুত রাজ্যে কার্যকর করার দাবিও জানিয়েছেন। তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, টোল প্লাজ়ায় ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা নেই। যাত্রী এবং পণ্যবাহী গাড়ির সুবিধার জন্যই নতুন ব্যবস্থা।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যে ওই নিয়ম কার্যকর করা নিয়ে ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতরের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেখানে সমস্যার কথা আলোচিত হয়েছে। যাত্রিবাহী বাস, মিনিবাসের ক্ষেত্রে কাছাকাছি রুটের টোল মেটানোর জন্য কম খরচের বিশেষ ফাস্ট্যাগ রয়েছে। তাই বেশি টাকা মেটানোর অভিযোগ ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy